Noida

জীবনদায়ী ওষুধ কিনিয়েও দেওয়া হয়নি কোভিড রোগীকে, ৫ চিকিৎসককে আটক করল পুলিশ

এই ৫ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোগীর পরিজনদের দিয়ে প্রাণদায়ী ওষুধ ‘রেমডেসিভির’ কিনিয়েও, তা ওই তরুণকে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, এর ফলেই ২০ বছরের ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়ডা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিড চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে আটক করা হল ৫ চিকিৎসককে। রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের আটক করা হয়েছে।

Advertisement

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ২০ বছরের এক তরুণ অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় নয়ডার বেসরকারি নার্সিংহোম ‘যথার্থ’-এ ভর্তি হন। এই ৫ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোগীর পরিজনদের দিয়ে প্রাণদায়ী ওষুধ ‘রেমডেসিভির’ কিনিয়েও, তা ওই তরুণকে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, এর ফলেই ২০ বছরের ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তরুণের পরিবার প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে দাবি করে যে, চিকিৎসকরাই রেমডেসিভির কেনার কথা বলেছিলেন।

রোগীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সদস্য এবং দিল্লির গৌতম বুদ্ধ নগরের সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক টিকম সিংহ সম্প্রতি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ৫ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধান রিপোর্টেও ওই পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।

Advertisement

অবশ্য বেসরকারি নার্সিংহোমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কপিল ত্যাগী দাবি করেছেন, গাফিলতির অভিযোগ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তিনি একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, রোগীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। আরও দেরি হলে চিকিৎসা শুরু করার আগেই তরুণটির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। রোগী একটু সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে দিল্লির অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

একই সঙ্গে রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ত্যাগী। তাঁর কথায়, “কোভিড আক্রান্ত রোগী যে রেমডেসিভিরে সুস্থ হবেন না, তা আগেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আমি বুঝতে পারছি ওই পরিবার তাঁদের এক মাত্র সন্তানকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু তা বলে কারও নামে মিথ্যা অভিযোগ করা উচিত নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement