বিধানসভায় বেনজির বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল পাঁচ বাম বিধায়ককে। অর্থমন্ত্রী কে এম মানির রাজ্য বাজেট পেশ আটকাতে গিয়ে শুক্রবার কেরল বিধানসভায় ধুন্ধুমার বাধে শাসক ও বিরোধী জোটের মধ্যে। সেই ঘটনার পর আজই প্রথম অধিবেশন বসল বিধানসভার। সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে তিন দিন আগের ঘটনার উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, “বিশ্বের কাছে আমরা নিজেরাই নিজেদের মাথা এ ভাবে হেঁট করলাম। এ নিয়ে মানুষের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত।”
এর কিছু পরেই শুক্রবার স্পিকারের মঞ্চ থেকে চেয়ার ছুড়ে ফেলা ও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী পাঁচ বিধায়ককে। এঁরা হলেন ই পি জয়রঞ্জন, ভি শিবানকুট্টি, কে টি জলিল, কে কুঞ্জআহমদ মাস্টার ও কে অজিত। এই অধিবেশন চলাকালীন তাঁরা আর ঢুকতে পারবেন না বিধানসভায়।
তবে এই পদক্ষেপে বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিশৃঙ্খলার জন্য এ ভাবে বেছে বেছে বিরোধীদেরই কাঠগড়ায় তোলা হল। সিপিএম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দনের দাবি, সে দিন গণ্ডগোলের মধ্যে তাঁদের দলের মহিলাদের সঙ্গে অভব্যতা করেন শাসক ইউডিএফ-এর কয়েক জন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে সরকার।
গত বছর রাজ্যে সব পানশালা বন্ধের নির্দেশ দেয় কেরল সরকার। অর্থমন্ত্রী মানির নামে অভিযোগ, ছাড়পত্র নবীকরণের আশ্বাস দিয়ে পানশালা মালিকদের থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। দুর্নীতিতে নাম জড়ানো মন্ত্রীকে বাজেট পেশ করতে দেবেন না, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। শুক্রবার সকাল সকাল বিধানসভার সব দরজা আটকে তাই বসে পড়েন তাঁরা। বিরোধীদের চক্রান্ত বানচাল করে কোনও রকমে পাশের দরজা দিয়ে ঢুকে, সাত মিনিটে বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন রাজ্যের প্রবীণ অর্থমন্ত্রী। এই নিয়ে প্রবল হট্টগোল, রক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি সব মিলিয়ে সে দিন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিধানসভা।