Terror Attack in Jammu and Kashmir

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সেনার কনভয়ে হামলায় পাক যোগ? ব্যবহার হয়েছে আমেরিকার অস্ত্র!

সোমবার বিকেলে নিয়মমাফিক টহলদারি দিচ্ছিল সেনাবাহিনীর গাড়িগুলি। কাঠুয়া জেলা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মাচেদি এলাকায় ওই কনভয় লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সেনার কনভয়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পাকিস্তান-যোগ রয়েছে বলেই সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সোমবারের হামলার ঘটনায় যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি আমেরিকাতে তৈরি। সোমবারের ঘটনায় পাঁচ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন বলে খবর। আরও ছয় জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবারের পর সোমবার জঙ্গি হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত উপত্যকা।

Advertisement

সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকেছিল। সেখানেই স্থানীয় সাহায্য পেয়েছে তারা। হামলা চালাতে জঙ্গিরা এম৪ কার্বাইন রাইফেল ব্যবহার করেছিল। অত্যধিক উন্নত এই অস্ত্র তৈরি করেছে আমেরিকান সংস্থা।

জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে নিয়মমাফিক টহলদারি দিচ্ছিল সেনাবাহিনীর গাড়িগুলি। কাঠুয়া জেলা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মাচেদি এলাকায় ওই কনভয় লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। অতর্কিত হামলার পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। হামলা চালানোর পরই পাশের জঙ্গলে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। তাদের খুঁজতে সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেনা সূত্রে খবর, যে স্থানে হামলা চালানো হয়, সেখানকার রাস্তা ভাল ছিল না। গাড়ি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটারের বেশি বেগে চালানো সম্ভব ছিল না। কনভয়ের গাড়িগুলি খুব আস্তে চলছিল। সে সময়ই হামলা চালায় জঙ্গিরা। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের পাঁচ জন সহকর্মীকে হারিয়েছি। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।’’

Advertisement

কাশ্মীরে সেনাদের উপর বার বার হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রকে আক্রম করে বলেন, “শুধু ‘ফাঁপা বক্তৃতা এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দিলে চলবে না। সন্ত্রাস হানার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, গত শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার কুলগামে জোড়া জঙ্গি হামলা হয়। কুলগাম জেলার মদেরগাম গ্রামের ফ্রিসাল এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সিআরপিএফ জওয়ান এবং স্থানীয় পুলিশ। গ্রামে সেনা এবং পুলিশ আধিকারিকেরা ঢোকার পর শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গিদের গুলিতে দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতেই মাঞ্জাকোট সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি চালালে পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement