—প্রতীকী চিত্র।
অতি বিরল কালো বাঘের সন্ধান দেশে এক মাত্র সেখানেই মেলে। পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার সীমানা লাগোয়া ওড়িশায় ময়ূরভঞ্জের সেই সিমিলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে এ বার হতে চলেছে ভারতের প্রথম এবং একমাত্র ‘কালো বাঘ সাফারি’। বুধবার ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এই ঘোষণা করেছেন।
নবীন বুধবার বলেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ওড়িশা সরকার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমিলিপালে কালো বাঘের সাফারি চালু করছে। দেশের মধ্যে এক মাত্র ওড়িশাতেই এ বার পর্যটকেরা বিরল কালো বাঘ দেখতে পাবেন।’’ ওড়িশার প্রধান মুখ্য বনপাল (পিসিসিএফ) সুশান্ত নন্দ জানিয়েছেন, ‘জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ (ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি বা এনটিসিএ)-র অনুমোদন নিয়ে চালু হতে চলেছে ওই কালো বাঘের সাফারি। আগামী অক্টোবরেই তা চালু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সাধারণ ডোরাকাটা বাঘ এবং কালো বাঘ একই প্রজাতি। কোনও কোনও বাঘের ত্বকে রঞ্জক পদার্থ মেলানিনের আধিক্য ঘটায় দেহের বর্ণ সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে কালো হয়ে যায়। সেগুলিকেই ‘ব্ল্যাক টাইগার’, ‘মেলানিস্টিক টাইগার’ বা কালো বাঘ বলা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ বাঘ দম্পতির দু’-তিনটি শাবকের মধ্যে একটির রং কালো। বস্তুত, বাঘের চেয়ে চিতাবাঘের (লেপার্ড) ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অনেক বেশি। কালো চিতাবাঘকে বলা হয় ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’। সাম্প্রতিক সুমারিতে সিমিলিপালে ১০টি ‘মেলানিস্টিক টাইগারের’ খোঁজ মিলেছে।