ফাইল ছবি
বিজয় মাল্য, নীরব মোদী ও মেহুল চোক্সী পালিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিলেও তাদের থেকে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করেছে। আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভায় বলেন, মাল্য-নীরব-মেহুলদের সম্পত্তি নিলাম করে এই অর্থ উদ্ধার হয়েছে। ব্যাঙ্কের বকেয়া না মেটানো ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত তিন পলাতক শিল্পপতির কাছে কত টাকার বকেয়া, তা অবশ্য অর্থমন্ত্রী জানাননি। বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মাল্যর থেকে অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা পাওনা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির। আর পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব-মেহুলের প্রতারণার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা।
নির্মলা আজ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি গত সাত বছরে ৫.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ি ঋণ উদ্ধার করেছে। বিরোধীদের যুক্তি, ১৯ লক্ষ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ নতুন এনপিএ যোগ হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, যে ভাবে বকেয়া ঋণ উদ্ধার করা হচ্ছে, তাতে বলা যায় আমানতকারীদের অর্থ ব্যাঙ্কে সুরক্ষিত। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিল চলতি অধিবেশনে আসবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য কোনও উচ্চবাচ্য করেননি নির্মলা। আজ লোকসভায় বাজেটে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। বাজেটের বাইরে আরও ৩.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করার জন্য সংসদের অনুমতি চেয়েছিল অর্থ মন্ত্রক। বিরোধীরা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অর্থমন্ত্রীর জবাব, মূলত সারের ভর্তুকি, একশো দিনের কাজ, এয়ার ইন্ডিয়া বেচার পরে বাকি সম্পত্তি যে সংস্থার হাতে থাকবে, তার জন্যই বাড়তি অর্থ মঞ্জুর করতে হচ্ছে। এ ছাড়া পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানোর জন্য উৎপাদন শুল্ক কমাতে গিয়ে কেন্দ্রের আয় কমছে বলেও অর্থমন্ত্রী যুক্তি দেন।
আজই অবশ্য অর্থ মন্ত্রক তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, কোভিডের বছরে, ২০২০-২১-এ তার আগের বছরের তুলনায় পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক থেকে ৬৭ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। ২০১৯-২০-তে আয় হয়েছিল ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২০-২১-এ প্রায় ৩.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে ৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় হবে বলে অনুমান। এখনও সংশোধিত হিসেব কষা হয়নি।