অমিত শাহ এবং পূজা সিঙ্ঘলের এই ছবিটিই শেয়ার করেন পরিচালক অবিনাশ। ছবি: সংগৃহীত
ছবিটি তোলা হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। ফ্রেমে দু’জন— অমিত শাহ এবং পূজা সিঙ্ঘল। পূজা মনরেগার টাকা লোপাটের দায়ে এখন ইডির হেফাজতে থাকলেও তখন ছিলেন বিহারের কৃষি এবং পশুপালন দফতরের সচিব। অন্য দিকে, ২০১৭ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সভাপতি ছিলেন শাহ। ছবিতে দু’জনকেই কানে কানে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। আর এই আলাপচারিতার ছবি নেটমাধ্যমে শেয়ার করে বিপদে পড়েছেন এক বলিউড পরিচালক। পুলিশ ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অনুমান, তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
বলিউডের ওই পরিচালকের নাম অবিনাশ দাস। তিনি ‘আনারকলি অব আরা’ ওয়েব সিরিজের পরিচালক। অবিনাশের বিরুদ্ধে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বদনাম করার অভিযোগ এনেছে আমদাবাদ পুলিশ। তারা এ-ও জানিয়েছে যে, শাহকে বদনাম করার কাজটি অবিনাশ করেছেন জেনেবুঝেই বা ইচ্ছে করে।
বিহারের প্রাক্তন খনিসচিব এবং আইএএস পূজাকে গত বুধবারই গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের মনরেগা প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের তদন্ত চলছিল। সেই মামলারই তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পূজার বাড়ি, অফিস এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বাড়ি থেকে ১৯ কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আমদাবাদ পুলিশের বক্তব্য, এমতাবস্থায় দুর্নীতির দায়গ্রস্ত বিহারের প্রাক্তন আমলার সঙ্গে শাহর ছবি পোস্ট করে দেশের মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। ‘সচেতন ভাবেই’ তাঁর সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে বলিউডের পরিচালকের বিরুদ্ধে এর পাশাপাশি আরও একটি অভিযোগ এনেছে আমদাবাদ পুলিশ। তারা জানিয়েছে, গত মার্চে এক মহিলার নগ্ন শরীরে জাতীয় পতাকা আঁকা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অবিনাশ। সেটি প্রথম নজরে আসে আমদাবাদ পুলিশের ডিটেকশন অব ক্রাইম ব্রাঞ্চ শাখার। পরে গত ৮ মে টুইটারে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পূজার ছবিটি দেন পরিচালক। পুলিশ জানিয়েছে, পরিচালকের বিরুদ্ধে জাতীয় মানহানি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।