বুথফেরত সমীক্ষা। ভোট এলে যে কথাটা সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এই সমীক্ষা মেলে, অনেক ক্ষেত্রে মেলে না। লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট আজ। এর পরই ফলাফল ২৩ মে। ১০ কোটি ১৭ লক্ষ ভোটদাতার সারা দেশে আজ ভোট দেওয়ার কথা।
ভোটকেন্দ্র থেকে বেরনোর পরই ভোটারদের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়। বেশ কয়েকটি সংস্থা এই সমীক্ষা চালায়। কোন দল কেমন ফল করবে, তার একটা আভাস এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া যায়।
সারা ভারতে বিভিন্ন সংস্থা এই সমীক্ষা চালায়। বুথফেরত সমীক্ষার প্রথম ধাপ হল স্যাম্পলিং বা নমুনা সংগ্রহ। কোনও কোনও সংস্থা লোকসভা কেন্দ্র থেকে নমুনাগুলির র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে, কেউ কেউ সিস্টেমেটিক স্যাম্পলিং করে।
ষাটের দশকে দিল্লির সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ এটি শুরু করেছিলে। ১৯৮০-র দশকে গণমাধ্যমের দ্বারা ভোট সমীক্ষা তার পর শুরু হয়।
বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, জাত এগুলোকেও এক-একটা মাপকাঠি হিসাবে ধরা হয় বুথফেরত সমীক্ষায়।
জনগণের প্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ১২৬-এ ধারা অনুযায়ী শেষ দফা ভোটের আধ ঘণ্টা পরে বুথফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা যায়।
২০০৪ সালে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকে আবেদন করে ভোট শেষ হওয়ার আগে বুথফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ না করার আবেদন জানায়। এই বিষয়ে সংশোধনী প্রস্তাব আনার আবেদনও জানানো হয়।
বুথফেরত সমীক্ষা আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ২০০৪ সালেই যেমন বিজেপি-এনডিএ জোট সরকার ক্ষমতায় আসবে এমনটা বলা হয়েছিল কোনও কোনও সমীক্ষায়, মেলেনি তা।
২০০৯ সালেও ইউপিএ জোট সরকার যে যথেষ্ট সংখ্যক আসন পাবে, তা বুথফেরত সমীক্ষায় সেভাবে বলা হয়নি।
২০১৯ সালে দেশের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। সপ্তম দশার শেষে ২৩ মে ভোটের ফলাফল।