বিপর্যস্ত চেন্নাই। ছবি: পিটিআই।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম চলে গিয়েছে। কিন্তু তার খেসারত এখনও দিতে হচ্ছে চেন্নাইবাসীকে। ঘূর্ণিঝড়টি চেন্নাইয়ের উপর দিয়ে না গেলেও তার প্রভাবে গত দু’দিন ধরে যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলে, তা সামাল দিতেই এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। ভয়ানক অবস্থা চেন্নাইয়ের।
বৃষ্টি কমে গিয়েছে। জলও নামতে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু অন্য সমস্যা প্রকট হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু এলাকা এমন রয়েছে যেখানে পৌঁছনো যায়নি। আবার এমন বেশ কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে জল নেমেছে ঠিকই, কিন্তু বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে কয়েক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডুবে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। তাই উদ্ধারকারীরা আশঙ্কা করছেন যে, এমন আরও কিছু দেহ মিললেও মিলতে পারে।
বহু এলাকায় ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। সঙ্গে বাড়ছে ক্ষোভ। বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, গত তিন দিন ধরে ঘরবন্দি। শহরে বিদ্যুৎ নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্কট শুরু হয়েছে। সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। বুধবার এক জনের মৃত্যু হওয়ায় চেন্নাইয়ে গত তিন দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭। উদ্ধারকারীরা ৫০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিয়েছিলেন। জল ঢুকে যাওয়ার কারণে এক লাখেরও বেশি মানুষ ভিটেমাটিছাড়া। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন সরকারের ত্রাণ শিবিরে। কেউ কেউ আবার সস্তার হোটেলে উঠেছেন। বহু বাড়ি এখনও জলের তলায়।