পাসপোর্টে বাবার নাম উল্লেখ করাটা আবশ্যিক নয়। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাঠরত এক যুবকের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব। এ দিন ওই মামলায় রায় শোনানোর সময় বিচারপতি জানিয়েছেন, পাসপোর্টে জন্মদাতার নাম উল্লেখ করা জরুরি নয়। এমনকী, এর কোনও আইনগত ভিত্তিও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই যুবকের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণের জন্য দিল্লির আঞ্চলিক অফিসে আবেদন করেন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পড়াশোনা করছেন তিনি। আগামী বছরের জুনেই শেষ হচ্ছে তাঁর ডিগ্রি কোর্সের মেয়াদ। ২০০৭-এর জুনে পাসপোর্ট করিয়েছিলেন তিনি। সেই পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৭-র জুনে। সে কারণে তা পুনর্নবীকরণের জন্য পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু, তাতে জন্মদাতার নাম না থাকায় সে আবেদন বাতিল করে দেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, তাঁর আগের পাসপোর্টটিও বাতিল করে দেন তাঁরা। এর পরই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই যুবক।
আদালতে ওই যুবক জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে তাঁর মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ক্ষীণ হয়ে পড়েছিল। সে কারণেই পাসপোর্টের আবেদনপত্রে বাবার নাম উল্লেখ করেনি সে। কিন্তু, পাসপোর্ট অফিস থেকে ওই যুবককে জানানো হয়েছে, ‘প্রযুক্তিগত’ কারণেই আবেদনপত্রে জন্মদাতার নাম থাকাটা জরুরি। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, পাসপোর্টের আবোদনপত্র পরীক্ষা করার সফ্টওয়্যারটি এমন ভাবে তৈরি যে তাতে জন্মদাতার নাম না থাকলে তা বাতিল করে দেয় ওই অ্যাপ। তা ছাড়া, শুধুমাত্র ডিভোর্সের ভিত্তিতে আবেদনপত্রে বাবার নাম উল্লেখ না করাটাও তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়েছে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ। কেবলমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তানকে ত্যাগ করলেই পাসপোর্টে জন্মদাতার নাম উল্লেখ থাকাটা জরুরি নয় বলে মত দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আদালত অবশ্য পাসপোর্ট অফিসের এই যুক্তি খারিজ করে অবিলম্বে ওই সফ্টওয়্যার আপডেট করার পাশাপাশি ওই যুবককে আগামী তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।
আরও পড়ুন
স্ত্রীর সম্পত্তি জানা নেই, খতিয়ানে বললেন মোদী