জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-তে নাম তোলার সময়ে যাঁকে বাবা বলে দাবি করেছিলেন, তিনিই ছেলে বলে মানতে নারাজ। এই জট খোলার আগে নতুন এক কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন ‘ছেলে’।
অসমের কাছাড় জেলার বাউড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক। ২৯ বছরের দিলবার হোসেন তাঁকে বাবা বলে দেখিয়ে এনআরসিতে নাম তোলার আবেদন করেছেন। নজরুল তা মানতে নারাজ। শনিবার তাঁর মেয়ে অভিযোগ আনেন, দিলবার তাঁর ঘরে অনধিকার প্রবেশ করেছেন। যৌনতাসূচক কথাবার্তাও বলেছেন। পুলিশ এই অভিযোগে দিলবারকে গ্রেফতার করেছে। দিলবারের দাবি, পিতৃত্বের দায় থেকে রেহাই পেতে নজরুল তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। ডিএনএ পরীক্ষা হলেই সব বেরিয়ে যাবে।
দিলবারের মায়ের বক্তব্য, তিনি নজরুলের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তখনই দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু গর্ভবতী হতেই নজরুল তাঁকে তাড়িয়ে দেন। বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেই জন্ম হয় দিলবারের। পরে নজরুলই উদ্যোগী হয়ে সিদ্দেক আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে দিলবারের মায়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। দিলবার বড় হয়ে সব জানতে পারেন। এনআরসিতে সেই অনুযায়ী আবেদন করেন। এনআরসি কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে ডেকে পাঠিয়েও জট কাটেনি দু’পক্ষই অনড় থাকায়। দিলবারের কথায়, ‘‘কাল সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নজরুলের মেয়ে ও তাঁর মা আমাকে বাড়িতে ডাকেন। সিদ্দেককেই বাবা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা। টাকার লোভও দেখান। আমি রাজি হইনি। এ নিয়ে কথাবার্তার মধ্যেই পুলিশ গিয়ে ধরে আনে আমাকে।’’ পুলিশ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাবে আদালতে।
আরও পড়ুন: নাবালিকা ধর্ষণে ফাঁসির বিরুদ্ধে আর্জি হাইকোর্টে
কিন্তু এনআরসি-র কী হবে? দিলবার ও তার মায়ের দাবি, আগে ডিএনএ পরীক্ষা করে পিতৃত্ব নির্ধারণ করা হোক।