পিতৃ দিবসের দিনেই মেয়েকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত বাবা। তাকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে আক্রান্ত কিশোরীর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও। উত্তরপ্রদেশের শাহজহানপুরের ঘটনা। অভিযোগ, পরিবারের দাবি মেনে বিয়েতে রাজি হয়নি বছর পনেরোর ওই কিশোরী। আরও পড়তে চেয়েছিল সে।
ওই কিশোরীর অভিযোগ, বাবা তাকে খালের কাছে জনশূন্য একটি জায়গায় নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল ভাইও। হঠাৎই গলায় কাপড় জড়িয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে ভাই। সেই সুযোগে পিছন থেকে মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে তার বাবা। ছেড়ে দেওয়ার কাতর অনুরোধ সত্ত্বেও মন গলেনি বাবার। বরং নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। শেষে মেয়েকে খালের জলে ফেলে দেয় বাবা।
মেয়ে বেঁচে রয়েছে কি না, তা দেখতে কিছু ক্ষণ বাদে ফিরে আসে বাবা। তবে ভাগ্যক্রমে বাবার চোখ এড়িয়েই সাঁতরে পাড়ে ওঠে নির্যাতিতা কিশোরী। তার পরেই সামনে আসে ঘটনাটি। অভিযোগ সত্য বলেই দাবি ওই কিশোরীর জামাইবাবুর। বিয়ের জন্য যাতে মেয়ের উপরে নির্যাতন করা না হয়, সেই জন্য কিশোরীকে নিজের বাড়িতেই রাখার বন্দোবস্ত করেছেন জামাইবাবু। তিনি জানিয়েছেন, গত দু’মাস ধরেই তাঁদের সঙ্গে থাকছিল ওই কিশোরী। কারণ, পরিবারের তরফ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাকে। তবে কয়েক দিন আগেই তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বাবা-মা। আক্রান্ত কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। সিনিয়র পুলিশ অফিসার দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।