মোবাইল স্ক্রিনেই চোখ সেঁটে থাকত সারা ক্ষণ। হয় সিনেমা, নয় পর্ন ছবি দেখা। সেই নেশাতেই বুঁদ বছর আঠারোর ছেলেটি। বাবার বকাবকিতেও ফল হয়নি। শেষমেশ চপার দিয়ে ছেলের ডান হাত কেটেই ফেললেন বাবা। তেলঙ্গানার সাইবারাবাদের ঘটনা। বছর তেতাল্লিশের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুরুতর জখম ছেলেটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ কায়ুম কুরেশি নামের ধৃত ব্যক্তি পাহাড়ি শরিফ থানা এলাকার বাসিন্দা। ছেলে খালেদ পেশায় কেব্ল অপারেটর। সম্প্রতি একটি স্মার্টফোন কিনেছিল সে। আর তাতেই গভীর রাত পর্যন্ত পর্ন ফিল্ম দেখত সে। বাবার বার বার বারণ সত্ত্বেও তাতে ছেদ পড়েনি। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। দিন দুয়েক আগেও তা নিয়ে বাবার সঙ্গে তুলুল ঝগড়া হয় তার। রেগে গিয়ে বাবার হাত কামড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সে। এর পর গভীর রাতে বাড়ি ফিরে আসে।
সোমবার নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল খালেদ। সে সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত ছেলের উপর চপার নিয়ে হামলা করেন কুরেশি। খালেদের ডান কব্জির উপর থেকে চপার চালিয়ে দেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় খালেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদের ডান হাত জোড়া লাগার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবই, জিষ্ণু হচ্ছেন উপমুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: আইসিআইসিআই এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের দুই শীর্ষ কর্তাকে তলব
পাহাড়ি শরিফ থানার ইন্সপেক্টর পি লক্ষ্মীকান্ত রেড্ডি বলেন, “এই ঘটনায় খালেদ এবং তার মায়ের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতেই খালেদের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, কুরেশির বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।