ফারুক আবদুল্লা
সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে যোগ দেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা নাসির আসলম ওয়ানির বক্তব্য, ‘‘সংসদের এই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বই নেই। তবে ফারুক গোটা অধিবেশনেই হাজির থাকবেন।’’ জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের আগে কাশ্মীরের অন্য নেতাদের সঙ্গে আটক করা হয়েছিল ফারুককেও। মুক্তি পাওয়ার পরে এই প্রথম সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পরে ফের রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ফারুক। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মতো নেতাদের মুক্তির দাবিতে সরব হওয়ার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর লক্ষ্যে রাজনৈতিক লড়াই চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উপত্যকার রাজনীতিকদের মতে, মূলত তাঁরই উদ্যোগে গুপকার এলাকায় বৈঠকে বসে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি-সহ ৬টি দল। সেই বৈঠকের পরে প্রকাশিত যৌথ ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে একসঙ্গে লড়াই চালাবে ছ’টি দলই। ওই ঘোষণাপত্রের প্রশংসা করেছে পাকিস্তান। তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ফারুক। তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিকে পাকিস্তান কখনওই পছন্দ করেনি। এখন হঠাৎ তারা আমাদের পছন্দ করতে শুরু করেছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমরা নয়াদিল্লি বা সীমান্তের ওপারের কোনও শক্তির পুতুল নই। আমরা কেবল জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ।’’
অন্য দিকে এ দিনই বান্দিপোরা এলাকায় এক সভায় জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টির নেতা উসমান মজিদ বলেন, ‘‘সব দলেরই উচিত এই পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আর মিথ্যে না বলা। বাস্তবায়িত করা যাবে না এমন প্রতিশ্রুতি আমরা দেব না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিশেষ মর্যাদাকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দল রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যবহার করেছে। কেউই সেটিকে সংবিধানে স্থায়ী রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেনি।’’ জম্মু-কাশ্মীরের যে সব বাসিন্দাকে বিশেষ মর্যাদা লোপের সময়ে ভিন্ রাজ্যের জেলে বন্দি করা হয়েছে তাঁদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা। আজ টুইটারে তিনি দাবি করেন, সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ভারত সরকারের। কিন্তু ভিন্ রাজ্যে জেলে বন্দিদের পরিবারের সদস্যেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে সরকারের দাবি ঠিক নয়।