জমায়েত হয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ছবি: টুইটার।
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে জট অব্যাহতই রইল।
শনিবার কৃষকদের সামনে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার যে প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রেখেছিলেন, তা মানছেন না বিক্ষুব্ধরা। অমিতের ‘শর্ত সাপেক্ষে’ আলোচনায় বসার ওই প্রস্তাবে তাঁদের থেকে যে কোনও রকম সাড়া মিলবে না রবিবার তা বৈঠকের পর স্পষ্টও করে দিলেন।
‘শর্ত সাপেক্ষে’ অমিতের প্রস্তাব মানা হবে কি না তা নিয়ে আজ, রবিবার বৈঠকে বসেন কৃষকেরা। বৈঠকের পর তাঁরা জানিয়ে দেন, কোনও রকম শর্ত ছাড়া যদি সরকার আলোচনায় বসতে চায়, একমাত্র তা হলেই তাঁরা রাজি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও রবিবার টুইট করে বিনা শর্তে দ্রুত কৃষকদের সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসতে বলেছেন।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষকদের সামনে আলোচনার একটা প্রস্তাব রেখেছিলেন। কৃষকদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের বুরারি গ্রাউন্ডে জমায়েত হওয়ার আবেদন করেন। সেখানে তাঁদের কর্মসূচি পালনে দিল্লি পুলিশের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি কৃষকদের সামনে তিনি শর্ত রাখেন, যদি তাঁরা বুরারিতে সরে যান, তা হলে ৩ ডিসেম্বরের আগে কৃষক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে সরকার।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কৃষকেরা ‘লং মার্চ’ করে জড়ো হয়েছেন পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। কৃষকদের একটি দল রাজধানীতে ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। কৃষকেরা জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় ট্র্যাক্টর-ট্রলির উপর বসবাস করছেন। টানা চার দিন ধরে এই পরিস্থিতি চলছে।
আরও পড়ুন: প্রায় গৃহবন্দি রইলেন শুভেন্দু, আজ কী বলবেন মহিষাদলে, জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন: কৃষকদের দাবি মানা হবে, আশ্বাস অমিত শাহের, বৈঠক ৩ ডিসেম্বর