Farm Laws

এক বার কার্যকর হতে দিন, কৃষকরা উপকৃত না হলে সংশোধন, কৃষি আইন নিয়ে আর্জি রাজনাথের

রাজনাথ আরও বলেন, “একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৫২
Share:

রাজনাথ সিংহ। ছবি সৌজন্য টুইটার।

কৃষি আইনের উপকারিতা বোঝাতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না কেন্দ্র। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছে, এই আইন কৃষকদের স্বার্থেই। একই সুর বিজেপি-র সকল নেতা মন্ত্রীদের গলায়। শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে সেই সুর টেনে বলতে শোনা গেল, “কৃষি আইন এক বছর বার তার কিছু বেশি সময়ের জন্য কার্যকর হতে দিন। যদি দেখা যায় এতে কৃষকদের কোনও উপকার হচ্ছে না, তখন সরকার তা সংশোধন করতে প্রস্তুত।”

রাজনাথ আরও বলেন, “একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। তাই আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে আমার আর্জি, এই আইন নিয়ে আলোচনার জন্য আপনার এগিয়ে আসুন।”

কৃষি আইন নিয়ে জনমত গড় তুলতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ১০০টি সাংবাদিক বৈঠক এবং ৭০০টি বৈঠকের আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা কৃষক সংগঠনগুলোও এই বিষয়টি নিয়ে জনমত গড়ে তোলার পথে নেমেছে। ফলে দু’পক্ষের টানাপড়েনের মধ্যে সমস্যা সুরাহার কোনও দিশা এখনও মেলেনি।

এই টানাপড়েনের আবহের মধ্যেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পে ৯ কোটি কৃষক পরিবারের জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন মোদী। কৃষকদের আশ্বস্ত করে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কিছু মানুষ ভুল বোঝাচ্ছে যে এই আইনের ফলে কৃষকরা জমিহারা হবেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” এই ভ্রমের শিকার না হতে কৃষকদের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

প্রায় এক মাস হতে চলল কৃষকদের আন্দোলন। সরকারের দেওয়া আইন সংশোধনের প্রস্তাব কৃষক সংগঠনগুলো বার বার ফেরত পাঠিয়েছে। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় সংগঠনগুলি। সরকার যত ক্ষণ না এই আইন প্রত্যাহার করবে তত ক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে বার বারই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement