Farmers Protest

চাষিদের পাশে ভিন্‌ মুলুক, অস্বস্তি দিল্লির

আপাতত ভারতীয় দুতাবাসকে ঘিরে রেখেছে লন্ডন পুলিশ। ধর্না এবং বিক্ষোভ চলেছে দূতাবাসের বাইরে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য ভারতের সর্বোচ্চ স্তর থেকে ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

দেশের অভ্যন্তরীণ কৃষক আন্দোলনে বাইরের রাষ্ট্রের ‘নাক গলানো’ নিয়ে যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, পাকিস্তানের আইএসআই এবং খালিস্তানিদের একটি অংশ কানাডা এবং ব্রিটেনের ভারত সংক্রান্ত নীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কূটনৈতিক স্তরে আগে অনেকবারই এই চেষ্টা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়মিত ভাবে সতর্ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে। এখনও স্থানীয় দূতাবাসের মাধ্যমে এই দেশগুলির সরকারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, সেখানে খালিস্তানি সংগঠনের গতিবিধির দিকেও সতর্ক নজর রাখছে ভারত।

Advertisement

লন্ডনে ১০ ডিসেম্বর কৃষক সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) নামে একটি সংগঠন। এটি যে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, সে কথা সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারকে জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশরা এর সদস্য। এখানে খালিস্তানি এবং আইএসআই একত্রে ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই সমাবেশ বন্ধ করার কোনও নির্দেশ এখনও জারি করেননি কর্তৃপক্ষ।

আপাতত ভারতীয় দুতাবাসকে ঘিরে রেখেছে লন্ডন পুলিশ। ধর্না এবং বিক্ষোভ চলেছে দূতাবাসের বাইরে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য ভারতের সর্বোচ্চ স্তর থেকে ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। দূতাবাস সূত্রের বক্তব্য, প্রতিবাদকারীদের হাতে রয়েছে খালিস্তানের পতাকা। আর ৩৬ জন ব্রিটিশ সাংসদ মোদী সরকারের কৃষক আন্দোলন দমনের প্রশ্নে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এঁদের বেশিরভাগের নির্বাচনী ক্ষেত্রে রয়েছে বড় সংখ্যক পাক বংশোদ্ভূত ভোটার। এই কারণেই ভারত সরকারের আইন নিয়ে এতটা উদ্বেগ জানাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: অমিত-কথাতেও অটল কৃষকেরা, বৈঠক নয়, আজ আবার প্রস্তাব

আরও পড়ুন: আজ বৈঠকে বিরোধীরা, যাবেন রাষ্ট্রপতির কাছেও

কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের ধারণা, খালিস্তানি আবেগকে যারা প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের থামানোর জন্য সে ভাবে সক্রিয় নয় ট্রুডো সরকার। কানাডার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী হরজিৎ সিংহ সজ্জনকে ইতিমধ্যেই খালিস্তানিদের মদতদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ।

এরই মধ্যে আমেরিকার আইনসভার বিভিন্ন সদস্য ভারতের কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে চলতে দিক ভারত সরকার। আন্দোলনরত কৃষকদের উপর যাতে দমনপীড়ন না নেমে আসে, তা নিয়ে ভারত সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন আইনসভার ডেমোক্রাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের অনেকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement