বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে কৃষকরা ছবি: পিটিআই
চলতি সপ্তাহে গত দু’দফার বৈঠকে বরফ গলেনি। নয়া ৩ কৃষি আইন নিয়ে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে কৃষকদের সঙ্গে শনিবার ফের এক বার বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন দুপুর ২টোয় দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বসতে চলেছে বৈঠক। তার আগে এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। সূত্রের খবর, কৃষকদের দাবি মেনে নয়া কৃষি আইনে সংশোধনী আনতে পারে মোদী সরকার। তবে এ দিনের বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে এ বার সংসদ ঘেরাওয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিতর্কিত ওই আইন নিয়ে আলোচনায় বসেছিল কেন্দ্র। নতুন আইন নিয়ে কৃষকরা তাঁদের ৩৯টি আপত্তির কথা জানিয়েছেন সরকার পক্ষকে। ৭ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকে সরকার পক্ষ অবশ্য বার বার কৃষি আইনের পক্ষেই সওয়াল করে গিয়েছে। ওই দিন রফাসূত্র না মেলায় শনিবার ফের আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিকে ঘিরে কৃষকদের বিক্ষোভের চেহারাটা খুব একটা বদলায়নি। বরং যত দিন গড়াচ্ছে ততই বিক্ষোভের সুর চড়া হচ্ছে। সিংঘু, টিকরি-সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের বিক্ষোভ অবস্থান চলছেই। শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির আম আদমি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁদের জন্য আগুন এবং জল প্রতিরোধক তাঁবুর ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন। সিংঘুতে বিক্ষোভকারীদের খাবার এবং অন্যান্য সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
আরও পড়ুন: টিম বাইডেনের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বৈঠকে ‘না’ পেন্টাগনের
আরও পড়ুন: ‘গুন্ডা’ ইস্যুতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার পথে কৈলাস-পুত্র আকাশ
বিক্ষোভের জেরে দিল্লির ট্রাফিকের অবস্থা তথৈবচ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের রাজধানীর সিংঘু, অচণ্ডী, লামপুর, পিয়াও মানিয়ারি এবং মঙ্গেশ সীমানা এখনও বন্ধই রয়েছে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’দিক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের বলা হয়েছে, আউটার রিং রোড এবং জিটিকে রোডও এড়িয়ে যেতে। সাফিয়াবাদ, ধানসা, কাপাসেরা, রাজোক্রি, পলাম বিহার এবং দৌন্দেরার রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।