প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তাঁরা যে ভরসা রাখছেন না, সোমবার সে কথাই জানিয়ে দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। সরকারকে পাল্টা আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুধুমাত্র ভরসার উপর দেশ চলতে পারে না। আইন এবং সংবিধান মেনেই দেশ চলবে।’’
সোমবার রাষ্ট্রপতির জবাবী ভাষণে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর গলায় দাবি করেন, ‘‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ছিল, আছে এবং থাকবে। এ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার শিকার যেন না হন কৃষকরা। এমনকি মান্ডিগুলোকেও আধুনিক করা হবে।’’
তাঁর এই মন্তব্যের পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ)-এর জাতীয় মুখপাত্র টিকায়েত বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এমএসপি আছে, ছিল এবং থাকবে। কিন্তু তিনি একবারের জন্যও বলেননি এ নিয়ে আইন তৈরি করা হবে। দেশ শুধুমাত্র ভরসার উপর চলতে পারে না। আইন এবং সংবিধান রয়েছে।’’
কৃষি আইন নিয়ে এখনও অচলাবস্থা কাটেনি। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তার কোনও দিশা নেই। যদিও সোমবার প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন, “সরকার সব সময় আলোচনায় বসতে রাজি। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।” এর পরই তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসুন।”
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস নিয়ে টিকায়েত যখন এক দিকে প্রশ্ন তুলেছেন, অন্য দিকে, তখন কৃষক সংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় বসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারকে পরবর্তী দিনক্ষণ ঠিক করার কথা জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতা শিব কুমার কাক্কা জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আলোচনার দিন ক্ষণ সরকারকে ঠিক করতে বলেছেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে কাক্কা বলেন, “আমরা কখনওই সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি খারিজ করিনি। যখনই তারা আমাদের ডেকেছে, আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি।” তবে মোদীর ‘আন্দোলনজীবী’ ‘নতুন প্রজাতি’, ‘পরজীবী’ মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে কৃষক সংগঠনগুলো। কৃষক নেতার পাল্টা প্রতিক্রিয়া, ‘‘গণতন্ত্রে আন্দোলনের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেটা অস্বীকার করা যায় না।’’