দিল্লি সীমান্তে পাকা বাড়ি বানাচ্ছেন কৃষকরা।
কেন্দ্রের পাশ করা ৩টি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই এই বিক্ষোভ ৪ মাসে পড়েছে। দিল্লি সীমান্তে প্রখর শীতের মধ্যে অস্থায়ী ছাউনি বানিয়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। কিন্তু এ বার রাজধানীর প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও কী ভাবে এই বিক্ষোভ চালানো যায়, তার প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন তাঁরা। রীতিমতো পাকা বাড়ি বানানো শুরু করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।
হরিয়ানা সীমান্তে টিকরিতে পাকা বাড়ি বানাতে দেখা গেছে কৃষকদের। এই বাড়ি তৈরি করার জন্য যে সরঞ্জামের প্রয়োজন, তার টাকা কৃষকরাই দিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, প্রতিটি বাড়ি তৈরি করতে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
দিল্লির প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আন্দোলন করা সহজ কথা নয়। এপ্রিল মে মাসে রাজধানীতে দুপুরের দিকে লু বইতে দেখা যায়। তাই এই সময়ের মধ্যে তাঁবুর মধ্যে থাকা মোটেই সহজ নয়। তাই আগে থেকেই বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে কৃষকদের।
আন্দোলন শুরু করার পর থেকে অনেক কৃষক ট্র্যাক্টরের মধ্যে বাস করছিলেন। কিন্তু পঞ্জাবে ফসল কাটার মরসুম আসায় সেগুলিকে ফিরে যেতে হয়েছে। তাই নতুন আস্তানার দরকার। আর সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছেন কৃষকরা।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে ১০ দফার বেশি বৈঠক করেছেন কৃষকরা। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। কেন্দ্র জানিয়েছে, আইনে কিছু সংশোধনী আনতে তৈরি তারা। অবশ্য নিজেদের দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ কৃষকরা। যত দিন না তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে, তত দিন তাঁরা আন্দোলন থেকে সরবেন না বলেই জানিয়েছেন।