—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কৃষকদের আন্দোলনের জেরে লোকসভা ভোটে বিজেপি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে ৩৮টি গ্রামীণ কেন্দ্র খুইয়েছে। এ বার মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের গোটা দেশের কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ, সংযুক্ত কিসান মোর্চা আন্দোলনে নামছে। মোর্চা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে কৃষক নেতারা বিজেপির ‘মুখোশ খুলে দেওয়া, বিরোধিতা করা, বিজেপিকে শাস্তি দেওয়া’-র ডাক দিয়ে প্রচার করবেন। এই রাজ্যগুলিতে কৃষকদের সম্মেলন ডাকা হবে। বিজেপির ‘কৃষক-বিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে পদযাত্রা, জাঠা, মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে।
আজ কিসান মোর্চা ঘোষণা করেছে, এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি, চাষিদের ঋণ মকুবের দাবিতে তাঁরা ফের আন্দোলন শুরু করবেন। সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁরা সময় চাইবেন। বিজেপি এ বারের লোকসভা ভোটে দেশে ১৫৯টি মূলত গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রে হেরেছে। বিজেপি নেতারাও মানছেন, কৃষক অসন্তোষ, ফসলের ন্যূনতম দাম বা এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টির দাবিতে আন্দোলন এর পিছনে বড় কারণ। দ্বিতীয় মোদী সরকারের কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাই ভোটে হেরেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় সিংহ টেনির ছেলের গাড়িতে আন্দোলনকারী কৃষকদের পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। টেনিও হেরে গিয়েছেন। নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা করলেও কৃষক নেতারা এখন ফের দিল্লি অভিযানের কথা ভাবছেন না। মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘আন্দোলনের একই ধরন প্রতি বার ব্যবহার হয় না। আমরা দেশ জুড়ে আন্দোলন করব।’’