ফাইল চিত্র।
দূষণ রুখতে শস্যের গোড়া পোড়ানোয় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হরিয়ানা সরকার। যদিও তা চলছেই। অন্তত ১২০টি নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এসেছে সম্প্রতি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হরিয়ানার করনালের কৃষি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর আদিত্য দাবাস বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত ২০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত চাষিদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ৩৫টি থানাকে।’’ তিনি জানান, শস্য গোড়া পোড়ানোর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে গ্রামবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে বারবার। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম ভাঙা চলছেই।
গত বছর নাসা কিছু উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছিল। জানানো হয়েছিল, পঞ্জাব ও হরিয়ানা জুড়ে শস্য গোড়া পোড়ানোই রাজধানী ও তার পাশ্বর্বতী এলাকায় বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। ২০১৫-র ডিসেম্বরে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও পঞ্জাবে শস্য গোড়া পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল’। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮১’ অনুযায়ী শস্যগোড়া পোড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য সম্প্রতি প্রতিবেশি রাজ্য হরিয়ানা ও পঞ্জাবকে দুষেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সুপ্রিম কোর্ট, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল-সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিষয়টি দেখতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।