বেঙ্গালুরুতে কৃষককে মেট্রোয় উঠতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।
পোশাক ‘ময়লা’, তাই বেঙ্গালুরুর মেট্রোয় কৃষককে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বেঙ্গালুরু মেট্রোর এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে যাত্রীকে তাঁর পরনের পোশাকের জন্য বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাতে হস্তক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
অভিযোগ, বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগর মেট্রো স্টেশনে সম্প্রতি ওই কৃষককে আটকানো হয়েছিল। মানবাধিকার কমিশন একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যে ধরনের খবর উঠে এসেছে, তা যদি সত্যি হয়, তবে তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কোনও যাত্রীকে কোনও গণপরিবহণে তাঁর পোশাকের ভিত্তিতে আটকানো যায় না। যদি কারও কাছে কোনও আপত্তিকর বস্তু থাকে, একমাত্র তখনই আইনসম্মত ভাবে তাঁকে আটকাতে পারেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।’’
কর্নাটকের মুখ্যসচিবকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। বেঙ্গালুরু মেট্রোর ম্যানেজিং ডিরেক্টরকেও ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট তাদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, মেট্রো বা অন্য কোনও গণপরিবহণে এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন, তা রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। সেই সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছেন, তা-ও জানতে চেয়েছে কমিশন।
ঘটনার কথা উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, মেট্রোয় পোশাকের ভিত্তিতে এক যাত্রীকে আটকানো হয়েছে শুনে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে। এই ধরনের কাজ কোনও যাত্রীর সঙ্গে করা যায় না।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারির। ওই দিন সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, এক কৃষক মাথায় বস্তা নিয়ে মেট্রো স্টেশনে এসেছেন। তিনি মেট্রোয় যাতায়াত করতে চেয়েছিলেন। তাঁর কাছে টিকিটও ছিল। কিন্তু মেট্রোর এক আধিকারিক তাঁকে আটকে দেন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অন্য যাত্রীরা অনেকেই মেট্রো আধিকারিকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছিলেন। কিন্তু কারও আপত্তি তিনি শোনেননি। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।