কেন্দ্রের আনা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারে প্রায় এক বছরব্যাপী দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। সেই আন্দোলনের জেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র।
সংযুক্ত কিসান মোর্চার বৈঠকে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক প্রতিনিধিরা। সোমবার নয়াদিল্লিতে। ছবি পিটিআই।
কেন্দ্রীয় প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হল তা পর্যালোচনা করতে আজ বৈঠকে বসল সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম)। এর পাশাপাশি, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমপিএস) নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা কতটা কার্যকর হল সে নিয়েও বৈঠকে চর্চা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাবের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়েনি। সূত্রের খবর, তার কারণ খুঁজতে এবং পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কেন্দ্রের আনা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারে প্রায় এক বছরব্যাপী দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। সেই আন্দোলনের জেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র। মোদী সরকার ওই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে। মনে করা হয়েছিল, ওই কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাঞ্চলে বিপাকে পড়তে পারে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আজ দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনে বৈঠকে বসেন এসকেএম নেতৃত্ব। দিনভর বৈঠক চলে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ভোটে কেন কৃষক আন্দোলন দাগ কাটতে পারল না, তা নিয়ে চর্চা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী রণকৌশল কী হবে, সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন কৃষক নেতৃত্ব। কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের সময়ে সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলি পূরণের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বৈঠকে।
এক বিবৃতিতে কৃষক নেতৃত্ব জানান, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে ১১-১৭ এপ্রিল দেশ জুড়ে প্রতিবাদে নামবে কৃষক সংগঠনগুলি। মোর্চার অভিযোগ, লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যার তদন্তও ঠিক মতো হচ্ছে না। এর দেশ জুড়ে ২১ মার্চ প্রতিবাদে নামবেন কৃষকেরা। ২৮ ও ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি ‘ভারত বন্ধ’-এর ডাক দিয়েছে। তাকেও সক্রিয় সমর্থন দেবে এসকেএম।