ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী।
বাংলাদেশের তরফেই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ফণী।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম অভিমুখেই এগোবে এই ঘূর্ণিঝড়। ১ মে উত্তর-পূর্ব অভিমুখে গতিপথ বদলাতে পারে।
‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এ পরিণত হচ্ছে ফণী। ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
রবিবার ফণীর অবস্থান ছিল চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্বে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে। সোমবার এর অবস্থান অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,০৯০ কিলোমিটার এবং চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে।
এর প্রভাবে সোমবার ও মঙ্গলবার কেরলের বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল কে জে রমেশ জানিয়েছেন, ২ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে ঠিক কোন সময়, কত গতিতে আছড়ে পড়তে পারে ফণী।
ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। তাই তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা— এই সব রাজ্যে মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সঙ্গে ক্যাবিনেট সচিবকে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ৫টি ভাগ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার হয় তাকে ‘ট্রপিক্যাল সাইক্লোন’ বলে। ৮৯-১১৭ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড়কে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮-১৬৫ কিলোমিটার হলে তাকে ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। ১৬৬-২২০ কিলোমিটার হলে ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’, ২২১ কিলোমিটারের বেশি হলে তখন সেটাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলে।