কাস্মীরে টহলদারি সেনার।— ফাইল চিত্র
ফের ভুয়ো সংঘর্ষে ৩ জনকে হত্যার অভিযোগে তোলপাড় জম্মু-কাশ্মীর। মঙ্গলবার শ্রীনগরের কাছে শুরু হয়েছিল ওই সংঘর্ষ। তাতে বুধবার ৩ জনের মৃত্যু হয়। তাদের ‘জঙ্গি’ বলে দাবি করেছে সেনা এবং পুলিশ। তবে তারা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি বলে মত সেনার। তাদের বিরুদ্ধে কোনও পুলিশ রেকর্ড নেই বলেও জানানো হয়েছে। সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ আহত হননি। এর পর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, ভুয়ো সংঘর্ষে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, তিনজনের মধ্যে ২ জন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ফর্ম জমা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখান নিহতদের আত্মীয়রা। এই ৩ জনের মধ্যে এক জন স্থানীয় এক পুলিশ কর্মীর ছেলে বলেও জানা গিয়েছে।
বুধবার নিহত হয় পুলওয়ামার বাসিন্দা আতার মুস্তাক, আজাজ মকবুল গনি এবং শোপিয়ানের বাসিন্দা জুবের লোন। এদের মধ্যে আজাজ গান্ডেরবালে নিযুক্ত এক হেড কনস্টেবলের সন্তান। আতার একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পুলিশের দাবি, নিহতদের এক জনের আত্মীয় হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি রইস কছরু। ২০১৭ সালে সংঘর্ষে নিহত হয় কছরু-ও।
আরও পড়ুন: চাপের মুখে দর কষাকষিতেও মোদী সরকারের ‘নরম সুর’
আরও পড়ুন: পুরভোটে বিজেপি ধরাশায়ী হরিয়ানায়
পুলিশ অবশ্য নিহতদের পরিবারের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘সন্তানরা কী করছে সে সম্পর্কে সাধারণত খোঁজখবর রাখেন না বাবা-মা।’ পুলিশের দাবি, এমন অনেকেই আছে যারা পিস্তল চালায়, গ্রেনেড ছোড়ে অথচ বাড়িতে সাধারণ জীবন কাটায়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছে কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স।
শোপিয়ানের আমশিপোরায় ভুয়ো সংঘর্ষে ৩ যুবককে হত্যার ঘটনায় এক সেনা অফিসার-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’-এ উত্তাল কাশ্মীর।