কাজ করেও বোঝাতে পারিনি, হতাশ রুডি

৫৪ বছর বয়সি রুডি সরকারে নতুন নন। তবে মোদী মন্ত্রিসভার রদবদলের আগে দলের দফতরে ডেকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ বার যখন তাঁকে ইস্তফা দিতে বললেন, রাজধানীতে চর্চা ছিল, মন্ত্রকের কাজে ছাপ ফেলতে না পারার জন্যই সরে যেতে হল রুডিকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩১
Share:

দক্ষতা উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিন বছর ধরে। কিন্তু ওই দফতরে কী কাজ করেছেন, দক্ষতার সঙ্গে তা বোঝাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রীকে। কাল হল তাতেই। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে হল রাজীব প্রতাপ রুডিকে।

Advertisement

যে ভাবে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে হল, তা নিয়ে রুডির প্রতিক্রিয়ায় আজ ক্ষোভ আর হতাশাই ফুটে উঠেছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১৪ সালে যখন মন্ত্রী হই, সারাদেশে দফতর খুলে মন্ত্রকের কাজের রূপরেখা ঠিক করতেই অনেক সময় চলে গিয়েছিল। সে সবই এখন চোখে দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা অনুযায়ী দেশজুড়ে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হয়েছে।’’ মোদীর নাম না করে এর পরেই রুডির মন্তব্য, ‘‘বস যদি মনে করেন, আমি ব্যর্থ হয়েছি, তা হলে নিজের সার্টিফিকেট
দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বস সব সময়েই ঠিক।’’

আরও পড়ুন:লালু-কন্যার ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত

Advertisement

৫৪ বছর বয়সি রুডি সরকারে নতুন নন। তবে মোদী মন্ত্রিসভার রদবদলের আগে দলের দফতরে ডেকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ বার যখন তাঁকে ইস্তফা দিতে বললেন, রাজধানীতে চর্চা ছিল, মন্ত্রকের কাজে ছাপ ফেলতে না পারার জন্যই সরে যেতে হল রুডিকে। আর রদবদলের পরে তাঁর ফেলে যাওয়া দফতরটি দেওয়া হয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। এর পরে আজ রুডির কথাতে ছিল ক্ষোভ। বলেন, ‘‘আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। তবে আমার জায়গায় এখন যিনি দায়িত্ব পেলেন, তাঁকেও কাজ দেখাতে কিছুটা সময় পেতে হবে।’’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রুডি এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি। বরং যুব সমাজের কাজের দক্ষতা বাড়ানোই ছিল তাঁর মূল কাজ।

বিজেপি শিবিরের খবর, মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পরে রুডিকে দলের সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা হবে।

অমিত শাহের সেই সিদ্ধান্ত এখন সময়ের অপেক্ষা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement