ভারতের বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ এটি।
১৯৬১-র ৫ এপ্রিল বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ১৯৮৭ সালে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
বাঁধটির উচ্চতা ১৩৮.৬৮ মিটার। দৈর্ঘ্য ১.২ কিলোমিটার। জলধারণ ক্ষমতা ৪০ লক্ষ ৭৩ হাজার একর ফুট (এমএএফ)
নির্মাণের শুরুতেই বাঁধটিকে নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। পরিবেশগত কারণ এবং পুনর্বাসনের প্রশ্ন তুলে সমাজকর্মী ও পরিবেশবিদরা আন্দোলনে নামেন। তৈরি হয় নর্মদা বাঁচাও কমিটি। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর।
১৯৯৬-তে সুপ্রিম কোর্ট বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। শর্তসাপেক্ষে ঠিক চার বছর পর অর্থাত্ ২০০০ সালে সুপ্রিম কোর্ট ফের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়।
সরকারি সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত— এই তিন রাজ্যে বাঁধ থেকে উত্পন্ন বিদ্যুত্ ভাগ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দাবি, বাঁধটি চালু হলে উপকৃত হবেন ১০ লক্ষ কৃষক।