প্রতীকী ছবি।
ভারতের নয়া ডিজিটাল আইন মেনে শুক্রবারই তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল গুগল এবং কু। এ বার ফেসবুকও সেই পথে হাঁটল।
ফেসবুক যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দাবি করা হয়েছে, ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে আইন লঙ্ঘনকারী এমন ৩ কোটিরও বেশি বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে, আইন লঙ্ঘনের বিষয়টিকে ১০টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেই মতো আইন লঙ্ঘনকারী বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে তারা।
ফেসবুকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামও তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আইন লঙ্ঘনকারী এমন ২ কোটি বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইনস্টাগ্রামের। ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা এই ধরনের বিষয়বস্তুকে চিহ্নিত করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছি। এ ছাড়াও কোনও অভিযোগ পেলেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই বিষয়বস্তু আমাদের নীতির বিরুদ্ধে গিয়েছে কি না।” কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তাদের আগামী রিপোর্ট ১৫ জুলাই প্রকাশিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবারই গুগল এবং কু তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে। ৫৯ হাজারেরও বেশি আইন লঙ্ঘনকারী লিঙ্ক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেই রিপোর্টে দাবি করেছে গুগল। গুগলের দাবি, এপ্রিলে ২৭ হাজার ৭১৬টি অভিযোগ পেয়েছে তারা। যার মধ্যে বেশির ভাগই স্বত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে। শুধু গুগল-ই নয়, অভিযোগ হাতে পাওয়ার পরই পদক্ষেপ করেছে নেটমাধ্যম সংস্থা কু। বেঙ্গালুরুর এই সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সাড়ে ৫ হাজার অভিযোগ পেয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে।