চলতি অর্থবর্ষে ‘হাই স্পিড’ ডিজ়েল কিনতে গিয়ে রেলের ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। ফাইল চিত্র।
পরিবেশ দূষণে রাশ টানা ছাড়াও ডিজ়েল খাতে ব্যয় কমাতে ঘটা করে বিদ্যুদয়নের উপরে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছিল রেল। কিন্তু সেই কাজ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে থাকায় ডিজ়েল খাতে ব্যয় উল্টে বেড়ে গিয়েছে রেলের।
সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষে ‘হাই স্পিড’ ডিজ়েল কিনতে গিয়ে রেলের ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। তাই চলতি অর্থবর্ষে রেলের খরচের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা থাকলেও তা ১ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। আগামী বছর তাই ওই খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
বাজেটের খতিয়ান অনুযায়ী, চলতি বছরে সাড়ে ছ’ হাজার রেলপথে বিদ্যুদয়নের কথা থাকলেও মাত্র ২৬৮৬ কিলোমিটারে সেই কাজ হয়েছে। আগামী বছরেও জ্বালানি খাতে রেলের খরচের বোঝা কমার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ‘হাই স্পিড’ ডিজ়েলের দাম ঘনঘন বাড়লে যাতে রেলের ভাঁড়ারে চাপ না-পড়ে তার জন্য তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে রেলের চুক্তি থাকে। চলতি মার্চের পরে সেই চুক্তির মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও খবর। বস্তুত, অতিমারির আগে ২০২১-২২ সালের মধ্যে বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে সেই সময়সীমা ২০২৪ সাল করা হয়েছে। বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ হলে বছরে রেলের প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে।
রেলকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, দেশের মোট রেলপথের ৮৫ শতাংশে বিদ্যুদয়ন হলেও তা ডিজ়েলের খরচ বাঁচানোর উপযোগী নয়। কারণ, নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে পুরো পথে বিদ্যুদয়ন না-হলে ডিজ়েলের খরচ বাঁচানো সম্ভব নয়। বিশেষত, যেখানে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের চাপ বেশি সেখানে কিছু পথ বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন এবং বাকি পথ ডিজ়েল ইঞ্জিন ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ওই পদ্ধতিতে সময়, জ্বালানি ছাড়াও লোকবলের খাতেও খরচ বাড়ে।