—ফাইল চিত্র।
বাম জমানার পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীর আগাম জামিনের জন্য তাঁর আইনজীবীরা ত্রিপুরা হাইকোর্টে আর্জি পেশ করেছিলেন গত ১৮ তারিখ। বিচারপতির ছুটির কারণে এই ক’দিন মামলাটি নথিভুক্ত হয়নি। আগামিকাল অবসরকালীন বিচারপতি মামলাটির শুনানির জন্যে সময় দিয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিম্ন আদালতে বাদলবাবুর জামিনের আর্জি খারিজ হয় গত ১৬ তারিখ, রাতে। তার পর থেকে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে পুলিশ।
বাদলবাবুর খোঁজে তার শ্বশুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তারা সেখানে পৌঁছনোর আগে বিজেপির কিছু সমর্থক বাড়িতে ঢিল-পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে বাদলবাবুর শ্যালক পালিয়ে যান। পরে পুলিশ গেলে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। বাদলবাবুকে খুঁজে না-পাওয়ার জন্য সরকার এ পর্যন্ত এক জন জেলা এসপি-সহ মোট ন’জনকে সাসপেন্ড এবং এক জন ডিআইজিকে বদলি করেছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিন্হার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দক্ষতার অভাবই এর জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, ‘‘বাদলবাবু তো আর (ওসামা বিন) লাদেন না! রাজ্যের এক জন পরিচিত ব্যক্তি। তাঁকেই খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী হিসাবে বিপ্লব দেবকেই এর দায় নিতে হবে।’’ এই মামলায় অভিযুক্ত মুখ্য বাস্তুকার সুনীল ভৌমিক পুলিশ হেফাজতে। তিনি আজ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জি বি হাসপাতালে। পুলিশ এ দিন তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি।