প্রতিবাদ: ভোটযন্ত্র বাতিলের দাবিতে আপ কর্মীদের বিক্ষোভ। শনিবার ভোপালে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে। ছবি: পিটিআই।
এত দিন ছিল কেবল মৌখিক অভিযোগ আর সন্দেহ। এ বার প্রমাণ পাওয়া গেল হাতেনাতে। ইভিএমে উদোর ভোট যে বুধোর ঘরে যেতেই পারে তা প্রমাণিত হল খোদ মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সামনেই। হাতে-গরম এই প্রমাণকে হাতিয়ার করে ইভিএমের পরিবর্তে অতীতের ব্যালট ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দাবি তুললেন কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। একই দাবি অরবিন্দ কেজরীবালের।
ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ। সামনেই বিধানসভার উপনির্বাচন। তাই গত কাল ইভিএমে ভোটের মহড়া দেখাতে সব দলের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার শালিনা সিংহ। ওই ইভিএমে প্রথম বোতামটি ছিল বিজেপির। প্রথমে সেই বোতামটি টেপা হলে বিজেপির চিহ্নের পাশে আলো জ্বলে ওঠে। ইভিএম থেকে যে কাগজ বেরোয় তাতেও দেখা যায় ভোট পড়েছে বিজেপির ঘরে। এ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও, গোলমাল শুরু হয় এর পরেই। একের পর চার নম্বরে থাকা কংগ্রেসের বোতাম টেপেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। দেখা যায় আলো জ্বলে উঠেছে ১ নম্বরে বিজেপির ঘরে। কমিশনের লোকদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে ইভিএম থেকে বেরনো কাগজেও দেখা যায় ভোট গিয়েছে বিজেপির ঘরে। এক ঘর লোকের সামনে অস্বস্তিতে পড়ে যান কমিশনের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: নোট বদল নিয়ে ইডি-র অভিযান
রক্তের স্বাদ পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস। আজ দিগ্বিজয় ও জ্যোতিরাদিত্য দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নসীম জৈদীর সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি জানান। কমিশন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। পরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ইভিএমে যে দুর্নীতি হতে পারে বা ইভিএম যে সবর্দা সঠিক ভাবে কাজ করে না তা ভিন্দের ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে চাইলে ইভিএমের মাধ্যমে ফলে পরিবর্তন করা সম্ভব। দিগ্বিজয় সিংহের কথায়, ‘‘আমি তো শুরু থেকেই ইভিএমে বিশ্বাস করিনি।’’
একই দাবি তুলে সরব হয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। পঞ্জাবে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ইভিএমকে দুষে আসছেন কেজরীবাল। আর এই ঘটনার পরে দিল্লির আসন্ন পুরভোট ব্যালটের মাধ্যমে করার ফের দাবি তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ না যন্ত্র-ভোটটা আসলে কে দিচ্ছে তা জানা দরকার। যখন গোটা পৃথিবী ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট করছে তখন আমরা কেন তা করব না?’’