কনস্টেবলের এই ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশমহলে। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বাঁ হাতে ধরা একটি থালা। সেই থালায় এক কোনায় বেশ কয়েকটি রুটি, এক মুঠো ভাত, আর একটি বাটিতে ডাল। উর্দি পরে সেই থালার খাবার দেখিয়ে এক পুলিশকর্মী কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘এ খাবার খাওয়া যায়? কুকুরও খাবে না এগুলি।’
এই পুলিশকর্মী উত্তরপ্রদেশের। নাম মনোজ কুমার। ফিরোজাবাদের এক থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের যে খাবার দেওয়া হয়, তা খাওয়ার যোগ্য নয়। এ বিষয়ে একাধিক বার তাঁর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বরং উল্টে তাঁকে শাসিয়ে বলা হয়েছে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে।
কনস্টেবল মনোজের কথায়, “পুলিশকর্মীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এ কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোথায় সেই পুষ্টিকর খাদ্য? ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে এই খাবার জুটছে পুলিশের। যদি পুলিশকর্মীদেরই ঠিক মতো খাবার না দেওয়া হয়, তা হলে আমরা কাজ করব কী করে?”
কনস্টেবল মনোজের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ফিরোজাবাদ পুলিশ। টুইট করে তারা জানিয়েছে, ‘এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন মনোজ। তার জন্য ১৫ বার শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, কাজে নিয়মিত না আসার জন্য এবং নানা বিষয়ে অবহেলার জন্যও শাস্তির মুখে পড়েছিলেন মনোজ।’ সার্কল অফিসার (শহর) অভিষেক শ্রীবাস্তবকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ফিরোজাবাদের পুলিশ সুপার আশিস তিওয়ারি।
ফিরোজাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিংহ বলেন, “মেসে প্রতি দিন প্রায় ১০০ জন কর্মীর জন্য খাবার তৈরি করা হয়। আসল ঘটনা কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”