দিল্লি বিমানবন্দরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।—ছবি পিটিআই।
তাঁদের কাশ্মীর সফর ঘিরে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। সফর শেষে সন্ত্রাস প্রশ্নে ভারতের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাছাই করা সদস্যেরা। জানালেন, কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিদের অধিকাংশই পাকিস্তান থেকে আসছে বলে তাঁদের জানিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুরও নিন্দা করেছেন তাঁরা।
আজ কাশ্মীর ছাড়ার আগে শ্রীনগরের বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট কিছু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য রিশার্ড সারনেস্কি, অঁরি মালোস, তিয়েরি মারিয়ানিরা। জানান, ভারতের রাজনীতিতে নাক গলানোর কোনও ইচ্ছে তাঁদের নেই। তাঁরা কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন।
পোলান্ড থেকে নির্বাচিত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য রিশার্ড সারনেস্কি বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাংশে কাশ্মীর নিয়ে একতরফা তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। দেশে ফিরে আমরা যা দেখলাম সে কথা জানাব।’’ ফ্রান্সের অঁরি মালোসের মতে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে ভারতকে নিশানা করা উচিত নয়।
সন্ত্রাস দমনে যে ভারতের পাশে থাকা উচিত সে কথা জোর গলায় বলেছেন ওই জনপ্রতিনিধিরা। ব্রিটেন থেকে নির্বাচিত সদস্য নিউটন ডানের বক্তব্য, ‘‘আমরা চাই ভারত সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হয়ে উঠুক। সে জন্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকা উচিত।’’ তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে যে সব জঙ্গি রয়েছে তাদের অধিকাংশই বাইরে থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা ও পুলিশ। বস্তুত তারা পাকিস্তান থেকে আসছে। সব সময়ে সন্ত্রাসের নিন্দা করা প্রয়োজন।’’ প্রায় একই সুরে ফ্রান্সের তিয়েরি মারিয়ানি বলেন, ‘‘জঙ্গিরা একটি দেশকে কী ভাবে ধ্বংস করতে পারে তা আফগানিস্তান-সিরিয়ায় দেখেছি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে আছি।’’