প্রতীকী ছবি।
শোপিয়ানের পরের দিনই অবন্তিপুরা। ফের এনকাউন্টারে মারা গেল দুই জঙ্গি। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবারের এই এনকাউন্টারে দুই সেনা জওয়ানও জখম হয়েছেন। আহত জওয়ানদের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।
এ দিন অবন্তিপুরার সাতপোখরান এলাকায় জঙ্গিদের গতিবিধির খবর পান গোয়েন্দারা। সেই মতো এ দিন সকালে পুলিশ, সেনা ও আধাসেনার যৌথ বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান শুরু করে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ‘‘অবন্তিপুরায় এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে।’’
সোমবারই শোপিয়ানে এনকাউন্টারে তিন হিজবুল জঙ্গি নিহত হয়েছিল। তাদের মধ্যে আবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের চাকরি ছেড়ে হিজবুলে যোগ দেওয়া এক জঙ্গিও ছিল। আবার সোমবার বিকেলেই পুলওয়ামায় একটি সিআরপিএফ ক্যাম্প লক্ষ করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের এনকাউন্টার।
আরও পড়ুন: ১০০ কোটির হেরোইন উদ্ধার পাইকপাড়ায়, পুলিশের জালে দুই
আরও পডু়ন: নির্বিষ প্রশ্নে স্বচ্ছন্দ মোদী! না করা প্রশ্ন রইল বাইরেই
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পর থেকে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল উপত্যকা। বন্ধ ছিল ইন্টারনেট, মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, কেবল পরিষেবা। ধীরে ধীরে সেই সব পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে। তার পর থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।