usa

দিল্লিতে ফের অস্থায়ী দূত আমেরিকার

নয়াদিল্লিতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতি এত দীর্ঘ কখনও হয়নি। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৮:১৯
Share:

এলিজ়াবেথ জোন্স।

ভারতে আমেরিকার কার্যনির্বাহী অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে এলিজ়াবেথ জোন্সকে নিয়োগ করল জো বাইডেন প্রশাসন।

Advertisement

প্রায় দু’বছর হতে চলল, ভারতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেনি আমেরিকা। কাজ চালাচ্ছিলেন সে দেশের শার্জ দা’ফেয়ার্স প্যাট্রিসিয়া এ ল্যাসিনা। গত কাল বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ফরেন সার্ভিসের শীর্ষস্থানীয় অফিসার এলিজ়াবেথকে নয়াদিল্লির আমেরিকান দূতাবাসে ‘শার্জ দা’ফেয়ার্সঅ্যাড ইন্টারিম’ পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। ৭৪ বছরের এলিজ়াবেথ শীঘ্রই নয়াদিল্লি পৌঁছবেন। আমেরিকার বিদেশ দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দু’দেশের সরকার ও মানুষের অংশীদারিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিগুলির অন্যতম’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তাকে আরও প্রসারিত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দূতাবাসে যোগ দেবেন অ্যাম্বাসাডর জোন্স।’’

কার্যক্ষেত্রে যদিও দেখা যাচ্ছে, হোয়াইট হাউসে বাইডেনের প্রায় অর্ধেক মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও এখনও ভারতে স্থায়ী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করল না আমেরিকা। নয়াদিল্লিতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতি এত দীর্ঘ কখনও হয়নি। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, ভারত এবং পাকিস্তান যে একে অন্যের রাষ্ট্রে পূর্ণাঙ্গ দূত পাঠায় না, তা পারস্পরিক বৈরিতার প্রমাণ। অথচ আমেরিকা ভারতের কৌশলগত মিত্র। সম্প্রতি সে দেশে দীর্ঘ সফর করে এসে বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর জমানাতেই নাকি ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক পূর্ণতা পেয়েছে। তার নিদর্শন কি ভারতে বছরের পর বছর রাষ্ট্রদূত না পাঠানো?

Advertisement

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন কেনেথ জাস্টার। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এসে ২০২১-এর জুলাইয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গার্সেটিকে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত মনোনীত করে। কিন্তু সেনেটের অনুমোদন আটকে থাকায় এখনও গার্সেটির নিয়োগে সিলমোহর পড়েনি। সেনেটে এ নিয়ে ভোটাভুটিতে যাওয়ার মতো আত্মবিশ্বাসীও নয় ডেমোক্র্যাটরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও দেশে রাষ্ট্রদূতের বদলে শার্জ দা’ফেয়ার্স থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিরাট কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু সেটি দীর্ঘদিন হয়ে গেলে তা কূটনৈতিক ভাবে ভাল দেখায় না।

ভাবী কার্যনির্বাহী অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রদূত এলিজ়াবেথ এর আগে আমেরিকার ইউরোপ ও ইউরেশিয়া বিষয়ক সহ-বিদেশসচিব, নিকট প্রাচ্য বিষয়ক কার্যনির্বাহী সহ-বিদেশসচিব, কাজ়াখস্তানের রাষ্ট্রদূতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসা সে দেশের নাগরিকদের পুনর্বাসন প্রকল্পে সমন্বয়ের দায়িত্বওসামলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement