Shiv Sena

শিবসেনার দুই গোষ্ঠীকে নতুন নাম দিল কমিশন, শিন্ডের প্রতীকে ‘ধর্মের ছোঁয়া’ এড়ানোর নির্দেশ

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর নাম হবে শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)। শিন্ডের গোষ্ঠীর নাম শিবসেনা (বালাসাহেবচি)। উদ্ধবের নির্বাচনী প্রতীক হবে ‘মশাল’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ২১:২৯
Share:

উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। ফাইল চিত্র।

আইনি বিতর্কের মধ্যেই সোমবার শিবসেনার যুই যুযুধান গোষ্ঠীর নয়া নাম ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠীর জন্য নয়া নির্বাচনী প্রতীক বণ্টনও করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর পছন্দের তিনটি প্রতীকই বাতিল করেছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে কোনও ‘ধর্মীয় প্রতীকচিহ্ন’ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের গোষ্ঠীকে নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

কমিশন সোমবার জানিয়েছে, উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর নাম হবে শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)। শিন্ডের গোষ্ঠীর নাম শিবসেনা (বালাসাহেবচি)। উদ্ধব গোষ্ঠীর নির্বাচনী প্রতীক হবে ‘মশাল’। মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনে ওই প্রতীকেই লড়তে হবে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ছেলের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৪ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের তরফে ‘শিবসেনা’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার সাময়িক ভাবে বন্ধ (ফ্রিজ) করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। উদ্ধব এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দুই যুযুধান গোষ্ঠীকে বিকল্প নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক জানাতেও নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সেই সিদ্ধান্তকেই সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে উদ্ধব শিবির।

Advertisement

যদিও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে উদ্ধব গোষ্ঠী তাদের পছন্দের তিনটি নির্বাচনী প্রতীক জমা দিয়েছিল। তার মধ্যে ‘উদিত সূর্য’ ও ‘ত্রিশূল’ ছিল। এ ছাড়া, উদ্ধব শিবিরের তৃতীয় পছন্দ হিসেবে রয়েছে ‘মশাল’। দলের নামের ক্ষেত্রে উদ্ধব-সেনার প্রথম পছন্দ ছিল ‘শিবসেনা (বালাসাহেব ঠাকরে)’। দ্বিতীয় পছন্দ ‘শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)’ এবং তৃতীয় তথা শেষ পছন্দ ‘শিবসেনা (বালাসাহেব প্রবোধঙ্কর)’।

অন্য দিকে, শিন্ডেও তাঁর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর জন্য নতুন তিনটি নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন এবং তিনটি নতুন নাম নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দু’গোষ্ঠীর প্রথম দু’টি পছন্দ (‘উদিত সূর্য’ এবং ‘ত্রিশূল’) মিলে গিয়েছিল। নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে শিন্ডে গোষ্ঠীর তৃতীয় তথা শেষ পছন্দ ‘গদা’। কিন্তু ‘ধর্মীয় প্রতীক’ বলে তা বাতিল করেছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, গত জুনে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শিন্ডে-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়েন উদ্ধব। এর পর শিন্ডে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেন। শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইস্তক শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে, এ নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে চলছে লড়াই। কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের হাতে না যায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল উদ্ধব গোষ্ঠী। কিন্তু গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে ‘আসল শিবসেনা’ বাছার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুমতি দেয় কমিশনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement