ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যসভায় কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে তা ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, কোনও অভিযোগ না-থাকা ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী করা হল না, তা ন্যূনতম ১০০ শব্দে কমিশনকে লিখিত জানাতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী করা হল তা-ও বিশদে জানাতে হবে।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পরিচালিত সব নির্বাচনেই এই নিয়ম এখন থেকে মানতে হবে। আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যসভা নির্বাচন থেকে এই নিয়ম প্রথম কার্যকরী হতে চলেছে। শনিবার এই মর্মে ১৭টি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতরে নির্দেশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে এই নির্দেশ। নির্দেশ না-মানলে তা সুপ্রিম কোর্ট অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে।
কমিশন সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত প্রার্থীদের নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়। রাজনৈতিক দলগুলি অভিযুক্ত প্রার্থীদের তথ্য জানানো নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করছে না বলে এক আইনজীবী শীর্ষ আদালতে মামলা করেন। সেই মামলাতেই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: ইয়েচুরির পথে ফের কাঁটা কারাটদের, খোঁজ বিকল্পের
আগামী ২৬ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি-সহ দেশের ১৭টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভার আসনে ভোট হবে। শুক্রবারেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হবে আগামী ১৩ মার্চ।
কমিশন সূত্রের খবর, ফৌজদারি মামলায় কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এবং মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রাজনৈতিক দলকে বাধ্যতামূলক ভাবে নিজেদের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। এর পাশাপাশি একটি স্থানীয় ভাষার সংবাদপত্র এবং একটি জাতীয় স্তরের সংবাদপত্রেও বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং দলের ফেসবুক, টুইটারেও সেই সব তথ্য দিতে হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অথবা মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনের অন্তত দু’সপ্তাহ আগে এই সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই সব পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলিকে কমিশনের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।