ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
রাম-দর্শনে এসেছেন ভক্তরা। তাঁদের জন্য খাওয়া দাওয়া, থাকার ঢালাও ব্যবস্থা হয়েছে অযোধ্যায়। কিন্তু তীর্থ করতে এসে ভক্তরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কী হবে? অযোধ্যায় যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তা কি বর্তমান জনসমাগমকে সামাল দিতে পারবে? এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও ঝুঁকি নেয়নি সরকার। থাকা-খাওয়ার ঢালাও ব্যবস্থার পাশাপাশি অযোধ্যায় একটা অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অস্থায়ী হাসপাতাল থেকে শুরু করে ব্লাড ব্যাঙ্ক এমনকি, প্রয়োজনে হৃদরোগের চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। বিপদে পড়লে ভক্তরা সেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিমার সাহায্য নিয়েও ভর্তি হতে পারবেন। এমনটাই জানা গিয়েছে রামমন্দির সূত্রে।
সোমবার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠান হলেও তার অনেক আগে থেকেই ভক্ত সমাগম শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশের রামভূমে। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠানের পরও এই ভিড় থাকবে। কারণ মঙ্গলবার থেকে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে অযোধ্যায় রামমন্দিরের দরজা। তবে তার আগে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন শুধু রামমন্দিরে বিশেষ অতিথিই আসবেন ২০ হাজার। থাকবে কয়েক লক্ষ ভক্তদের ভিড়ও। এই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই সরকারের তরফে বাড়তি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে অযোধ্যায়। যাতে অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা না হয় ভক্ত কিংবা অতিথিদের।
মন্দির সংলগ্ন এলাকায় কয়েক কিলোমিটার অন্তর অন্তর একটি করে ২০ শয্যার ছোট হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া, থাকবে হেল্থ ক্যাম্প বা স্বাস্থ্য শিবির, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকবেন চিকিৎসকেরা। থাকবে ওষুধের ব্যবস্থাও। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সাহায্য নিয়ে ওই সমস্ত হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে এমআরআই এবং ক্যাথ ল্যাবের সুবিধাও থাকবে।
১০০র বেশি অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত থাকবে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য। থাকবে ব্লাড ব্যাঙ্ক, অক্সিজেন প্ল্যান্টের বন্দোবস্ত। এ ছাড়াও আইসিইউ, ডায়গনিস্টিক সেন্টারও থাকবে রামমন্দির সংলগ্ন এলাকায়।
এর পাশাপাশি অযোধ্যার সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা সংরক্ষণ করা হয়েছে। অযোধ্যা মেডিক্যাল কলেজে ৫০ শয্যার ট্রমা সেন্টার ফাঁকা রাখা হয়েছে রামমন্দিরের ভক্তদের জন্য। আরও একটি মেডিক্যাল কলেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৫০ শয্যার আইসিইউ সেন্টার।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসকদের আনা হয়েছে বিশেষ করে ১৫ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠানের জন্য। তবে তার পরেও অযোধ্যায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে জানিয়েছে অযোধ্যা প্রশাসন।
তাঁরা জানিয়েছে, কুম্ভমেলা হলে আমাদের যা যা ব্যবস্থা থাকে, সেই একই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ এবং তদপরবর্তী ভক্ত সমাগমের জন্য