একনাথ শিন্দে। —ফাইল চিত্র।
মরাঠা সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শাসক জোটের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে। এই বিষয়ে তাঁর সরকার কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছে, তা নিয়ে বিধায়কদের জানিয়েছেন তিনি।
শিন্দের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার বিধায়কেরা ছাড়াও অজিত পওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি এবং বিজেপির বিধায়কেরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে জানিয়েছেন, মরাঠাদের মধ্যে কুনবি জাতি শংসাপত্র পেতে যোগ্যতা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের এই শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রতিটি জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মরাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনে এই বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হিসেবে রাখা হয়েছিল। সরকার সেই দাবি যে মেনে নিয়েছে, মুথ্যমন্ত্রী তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গতকালের এই বৈঠকে শিন্দে আরও জানিয়েছেন, কুনবি সম্প্রদায় সম্পর্কে বিভিন্ন নথিপত্র জোগাড়ের ব্যাপারেও মহারাষ্ট্র সরকার আরও উদ্যোগী হবে। জাতি শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। শিন্দে জানিয়েছেন, সেই কমিটির কাজের সীমা বাড়াতে এবং প্রয়োজনীয় কর্মী সরবরাহ করতে সরকার পদক্ষেপ করতে চলেছে। শাসক জোটের বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যের সব জেলাশাসকের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার জন্য একজন আইএএস আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রগতি রিপোর্ট দেওয়াই হবে তাঁর কাজ। এছাড়া, রাজ্য অনগ্রসর কমিশনের কাজে গতি আনতে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের মতো সংস্থার সাহায্য নিতে মহারাষ্ট্র সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিন্দে।
সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে সমাজে যাতে কোনওরকম বিভেদের সৃষ্টি না হয় এবং এ ব্যাপারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়, সে দিকে নজর দিতে জোটের বিধায়কদের অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের কেন্দ্রে গিয়ে মরাঠা সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচার করার জন্য বিধায়কদের বলেছেন তিনি। মরাঠা সংরক্ষণের দাবিকে ঘিরে গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্রে হিংসা ছড়িয়েছে। বিধায়কদের অনেকে মহারাষ্ট্রের আইনসভা, বিধান ভবন এবং মন্ত্রালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সংরক্ষণের দাবিতে কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটেই শাসক জোটের বিধায়কদের সামনে তাঁর সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন শিন্দে।