মোদী, পলানী কী কথা, জারি জল্পনা

তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম দেখা করেছিলেন গত সপ্তাহে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী। জয়ললিতার মৃত্যুর পরে এডিএমকে দ্বিধাবিভক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০৩:১২
Share:

তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম দেখা করেছিলেন গত সপ্তাহে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী। জয়ললিতার মৃত্যুর পরে এডিএমকে দ্বিধাবিভক্ত।

Advertisement

কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুই গোষ্ঠীকেই সুকৌশলে পাশে পেতে চাইছেন মোদী।

জয়ললিতা ছিলেন বিজেপির বন্ধু। তিনি জীবিত থাকলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এডিএমকে-কে নিয়ে ভাবনা থাকত না মোদীর। কিন্তু এখন দুই শিবিরের নেতাদের সঙ্গেই আলাদা আলাদা বৈঠকে বসতে বসতে হচ্ছে তাঁকে। পনীরসেলভমের শিবির গোড়া থেকেই বিজেপির সঙ্গে ছিল। অন্য শিবিরের নেত্রী শশিকলার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলার।

Advertisement

কিন্তু জেলে যাওয়ার সময়ে শশিকলা যে পলানীস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসিয়েছিলেন, তাঁকেও এখন পাশে রাখতে চান মোদী। দক্ষিণের রাজ্যগুলির দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুরলীধর রাও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এডিএমকের দু’টি গোষ্ঠীর প্রায় পুরোটাই (আমাদের) সঙ্গে থাকবে।’’

আজ বৈঠকের পরে পলানীস্বামী অবশ্য দাবি করেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি এসেছেন রাজ্য বিধানসভায় জয়ললিতার ছবি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান এবং এম জি রামচন্দ্রনের শর্তবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে।

এখন প্রশ্ন হল, নিজেদের মধ্যে সমঝোতা-সূত্র নিয়ে যারা এখনও লড়ে যাচ্ছে, এ়ডিএমকে-র সেই দুই গোষ্ঠীই একবাক্যে বিজেপির কাছাকাছি আসছে কী করে? বিশেষ করে যে তামিলনাড়ুতে বিজেপির তেমন শক্তিই নেই?

বিজেপি অবশ্য মুখে দাবি করছে, এটাই মোদীর ক্যারিশমা। এক গোষ্ঠী তো বিজেপির সঙ্গেই ছিল, অন্য শিবিরও বুঝতে পারছে কেন্দ্রের সঙ্গে সখ্য রেখে চলাই ভাল।

কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে মোদীকে রুখতে একজোট হওয়ার তোড়জোড় করা বিরোধীদের অভিযোগ, এ আসলে সিবিআই, আয়কর এবং ইডির খেলা। গোটা দেশে কম-বেশি সব দলের পিছনেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সক্রিয়। সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই হোক বা অরবিন্দ কেজরীবালের দল। এক দিকে গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অন্য দিকে লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে থাবা শক্ত হচ্ছে গোয়েন্দাদের। তাঁর মেয়ে মিসা ভারতীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে গ্রেফতার করে এ বার মিসা ও তাঁর স্বামীকে নাগালে পেতে চাইছে আয়কর দফতর।

বিরোধীরা দাবি করেছে, একই ভাবে তামিলনাড়ুতেও পলানীস্বামী মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে হানা দিয়েছে সিবিআই এবং ইডি। সেই কারণেই শশিকলা জেলে যাওয়ার পরে পলানীস্বামীকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শরণাপন্ন হতে হয়েছে। ঠিক যে ভাবে মোদীর সঙ্গে দেখা করে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়েছেন জগন্মোহন রেড্ডি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে পরশু যখন বিরোধীরা বৈঠকে বসছে, সেই সময়ে গোটা এএডিএমকে-কে পেলে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৬০ হাজার ভোট নরেন্দ্র মোদীর ঝুলিতে যাবে। যার ফলে আরও সুনিশ্চিত হবে এনডিএর প্রার্থীর জয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement