Sanjay Raut

Sanjay Raut: জমি দুর্নীতি-কাণ্ডে দিনভর বাড়িতে তল্লাশি, ইডি আটক করল সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে

জেরার জন্য সমন পেয়েও হাজিরা দেননি। রবিবার সকালে সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। জেরা শুরু করে। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২২ ১৬:২২
Share:

শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে হেফাজতে নিল ইডি।

জমি দুর্নীতি-কাণ্ডে এক বার নয়, দু’বার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে জেরার জন্য ডেকেছিল ইডি। এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সঞ্জয়কে জেরা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত বিকেলে তাঁকে আটক করল ইডি।

Advertisement

২৭ জুলাই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শিবসেনা রাজ্যসভার সাংসদের। সংসদে বাদল অধিবেশন চলছে জানিয়ে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে এক দিনও হাজিরা দেননি সঞ্জয়। এর পরেই রবিবার সকাল ৭টার সময় পূর্ব মুম্বইয়ের বান্ডাপে রাউতের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। শুরু হয় তল্লাশি।

ইডির নজরে ছিল মুম্বইতে একটি বস্তির পুনর্নির্মাণ এবং রাউতের স্ত্রী ও অন্য সহযোগীদের টাকা লেনদেন। সেই নিয়েই তাঁকে জেরা শুরু করা হয়। উদ্ধব-ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে।

Advertisement

ইডি বাড়িতে অভিযানে নামার আগেই সঞ্জয় টুইটারে লেখেন, ‘মিথ্যে পদক্ষেপ, মিথ্যে অভিযোগ। আমি শিবসেনা ছাড়ব না। মরে গেলেও আত্মসমর্পণ করব না। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমার যোগ নেই। শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নামে প্রতিজ্ঞা করে বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়তে শিখিয়েছিলেন। আমি লড়াইটা চালিয়ে যাব।’’ সঞ্জয়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপি এবং ইডির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন শিবসেনা সমর্থকরা।

বিজেপি যদিও বারবার প্রশ্ন তুলেছে, ইডি জেরার জন্য ডাকলেও কেন হাজিরা দিচ্ছেন না সঞ্জয়। বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের খোঁচা, ‘‘সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রয়েছে তাঁর, অথচ ইডির দফতরে যাওয়ার সময় নেই।’’

১ জুলাই সঞ্জয়কে ১০ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। টাকা তছরুপ প্রতিরোধী আইনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এপ্রিলে সঞ্জয়ের স্ত্রী বর্ষা রাউত এবং দুই সহযোগীর ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তার মধ্যে রয়েছে বর্ষার দাদরের একটি ফ্ল্যাট।

শিবসেনা যদিও প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। তাদের আরও দাবি, সঞ্জয় রাউত একনাথ শিন্ডে শিবিরে যোগ দেননি বলেই এই সব অভিযোগ উঠছে। জুলাইয়ের শুরুতে শিবসেনা ছেড়ে একের পর এক বিধায়ক যোগ দিয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। ফলে মহারাষ্ট্রে পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাডী জোট সরকারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement