লালু-কন্যার ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত

ইডি-কর্তাদের যুক্তি, ৮ হাজার কোটি টাকার একটি আর্থিক নয়ছয়ের মামলার তদন্তেই মিসার এই ফার্ম হাউসটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জুলাই মাসে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মিসা রাজ্যসভার সাংসদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও পটনা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৬
Share:

লালুপ্রসাদ-কন্যা মিসা ভারতীর দিল্লির ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত করল ইডি।

Advertisement

দিল্লির বিজ্বসন এলাকায় ওই ফার্ম হাউসটি মিসা ও তাঁর স্বামী শৈলেশ কুমার তাঁদের বেআইনি পথে রোজগার করা ১.২ কোটি টাকায় কিনেছিলেন বলে ইডি-র অভিযোগ।

মাত্র দেড় সপ্তাহ আগেই পটনার জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন লালুপ্রসাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব থেকে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদরা সেই মঞ্চে থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও বিরোধী ঐক্যের পক্ষে। এরপরেই লালু-কন্যার বিরুদ্ধে ইডি-র অভিযানে প্রশ্ন উঠেছে, এর পিছনেও কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?

Advertisement

ইডি-কর্তাদের যুক্তি, ৮ হাজার কোটি টাকার একটি আর্থিক নয়ছয়ের মামলার তদন্তেই মিসার এই ফার্ম হাউসটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জুলাই মাসে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মিসা রাজ্যসভার সাংসদ। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে ইডি-অভিযানকে লালু তথা আরজেডি-কে কোণঠাসা করার চেষ্টা হিসেবেই দেখছেন দলের নেতারা। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের যুক্তি, আইন মেনেই তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন:কাজ করেও বোঝাতে পারিনি, হতাশ রুডি

ইডি-র বক্তব্য, ২০০৮-’০৯-এ ফার্ম হাউসটি কেনা হয় মিশেইল প্যাকার্সের নামে। মিসা ও শৈলেশ এই সংস্থার মালিক। আর্থিক নয়ছয়ের তদন্তে প্রথমে সুরেন্দ্র জৈন ও বীরেন্দ্র জৈন নামে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে ইডি। মিসার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজেশ অগ্রবালকেও গ্রেফতার করা হয়। তিনি গতকাল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

ইডি-র অভিযোগ, বীরেন্দ্র জৈনের সংস্থা শালিনী হোল্ডিংস মিসা-শৈলেশের ৩০ হাজার শেয়ার ১০০ টাকা দরে কিনে নেয়। পরে সেই শেয়ারই আবার ১০ টাকা দরে মিশেইলকে বেচে দেওয়া হয়। শালিনীর মতো আরও তিনটি সংস্থা মিশেইল প্যাকার্সের মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার শেয়ার প্রথমে ১০০ টাকায় কিনে তারপর ১০ টাকা দরে বেচে দেয়। এর মধ্যে ডায়মন্ড ভিনিমে নামে কলকাতায় নথিভুক্ত একটি সংস্থাও রয়েছে। প্রত্যেকটিই আদতে ভুয়ো সংস্থা বা ‘শেল’ কোম্পানি। ইডি সূত্রের দাবি, রাজেশের মাধ্যমে জৈন ভাইদের এই শেয়ার কেনাবেচার জন্য ৯০ লক্ষ টাকাও দেওয়া হয়েছিল। জৈন ভাইরাও জেরায় স্বীকার করেছেন, শেয়ার কেনাবেচা করে মিসা-শৈলেশকে বেআইনি মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই তাঁরা টাকা নিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement