আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। —ফাইল চিত্র।
ইডির নজরে দিল্লির আরও এক আপ বিধায়ক। তবে যে আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল কিংবা আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া গ্রেফতার হয়েছেন, সেই মামলায় নয়। দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর তাতে নাকি যুক্ত রয়েছেন আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। এই বেনিয়মে আর্থিক তছরুপের দিকটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। তাদের তরফেই বুধবার দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আমানাতুল্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রুজু করার আর্জি জানানো হয়েছে।
আগামী ১৮ এপ্রিল ইডির আর্জি শুনবে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি ওই দিনই নিজেদের আর্জির স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ জমা দেবে। মামলাটি শুনবেন বিশেষ আদালতের বিচারক রাকেশ স্যাল। আপ শিবিরের আশঙ্কা, তাদের আরও এক বিধায়ককে লোকসভা ভোটের আগে গ্রেফতার করবে ইডি।
এই মামলায় দিল্লির ওখলা কেন্দ্রের সাংসদ আমানাতুল্লা-সহ মোট চার জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। বাকি তিন জনই বিধায়কের সহযোগী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার সমন পাঠালেও আমানাতুল্লা হাজির হননি বলে দাবি করে ইডি। গত ২৩ জানুয়ারি, ৩১ জানুয়ারি, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৪ মার্চ— মোট ছ’বার তলব করা হয়েছিল ওই আপ বিধায়ককে। কিন্তু প্রতি বারই সমন এড়ান তিনি। তার পর ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে আমানাতুল্লাকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
২০১৬ সালে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, অস্তিত্বই নেই এমন কিছু পদে বেশ কয়েক জনকে নিয়োগ করেছিলেন দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারপার্সন আমানাতুল্লা। এর ফলে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয় এবং ওই বিধায়ক আর্থিক ভাবে লাভবান হন বলে দাবি করে সিবিআই। পরে এই মামলায় আর্থিক অসঙ্গতির দিকটি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ইডি।