ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। ছবি: পিটিআই।
এত দিন তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করত— ইডি, সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপি নেতারা যা ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তেমনটাই হয়। আজ ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল একই অভিযোগ তুলে বলেছেন, ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি নেতারা যখন, যে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ইডি বা আয়কর হানার হুমকি দিচ্ছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিও তা-ই করছে।
বুধবার ইডি ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও ওএসডি-র বাড়িতে হানা দিয়েছিল। আজ বঘেল দিল্লিতে এসে কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বলেছেন, ইডি-র পরে এ বার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ২০০ থেকে ২৫০ জন আয়কর দফতরের আধিকারিক যাচ্ছেন। বঘেলের মন্তব্য, “মনে হচ্ছে,
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীদের বদলে সিবিআই, ইডি-ই লড়বে। আসলে মোদী সরকার ছত্তীসগঢ়ের যাবতীয় খনি নিজেদের ঘনিষ্ঠ, বন্ধু শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। তাতে কংগ্রেস সরকার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই সিবিআই, ইডি, আয়কর হানা চলছে।”
কী বলছে ইডি? ইডি সূত্রের বক্তব্য, এর আগে ছত্তীসগঢ়ে কয়লা ও আবগারি কেলেঙ্কারির তদন্ত হয়েছে। এখন মহাদেব অনলাইন অ্যাপে বেটিং কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জয় বর্মা পুলিশের এক এএসআই-এর মাধ্যমে পুলিশের বড়কর্তাদের জন্য ৬৫ কোটি টাকা ঘুষের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে প্রমাণ মিলেছে। তাই বর্মার বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। বর্মা অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, বুধবার ইডি তাঁর বাড়িতে লুঠ ও ডাকাতি চালিয়েছে। বঘেল তাঁর জন্মদিনে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে ইডি হানাকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর ‘অমূল্য উপহার’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। আজ তাঁর কটাক্ষ, “রিটার্ন গিফট হিসেবে আমরা বিধানসভার ৯০টির মধ্যে ৭৫টি আসন পেয়ে বিজেপিকে হারাব।”