বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি দফতরে পৌঁছে যান ইডির কর্তারা। প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রের চিনিকল দুর্নীতি। সেই মামলায় এক সময়ে নাম জড়িয়েছিল এনসিপির প্রথম সারির নেতাদের। প্রকাশ্যে এসেছিল অজিত পাওয়ারের নাম। এমনকি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের অতি ঘনিষ্ঠ হাসান মুশরিফের নামও। বুধবার সেই সংক্রান্ত একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযান চালাল কলকাতায়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি দফতরে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। তার পরে চলে তল্লাশি। দলে চার থেকে পাঁচ জন ছিলেন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চালান তাঁরা। তবে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের ওই দফতর কী ভাবে মহারাষ্ট্রের চিনিকল মামলায় যুক্ত, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি ইডির তরফে।
তবে বুধবার যখন কলকাতায় এই অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন মহারাষ্ট্রে এনসিপির এই শরদ ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতেও পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিপির ওই প্রভাবশালী নেতা হাসানের মুম্বই, পুণে এবং কোলাপুরের বাড়িতে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পৌঁছে যান ইডির কর্তারা।
কিছু চিনিকলের নিলাম এবং আর্থিক নয়ছয় সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত দীর্ঘ দিন ধরেই করছে ইডি। ২০২১ সালে বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়া এ ব্যাপারে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। দেড় বছর আগেও এই মামলায় মহারাষ্ট্র জুড়ে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। বুধবারের অভিযান প্রসঙ্গে মুশরিফ জানিয়েছেন, দেড় বছর আগেও তিনি ইডির চাওয়া সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছিলেন তদন্তকারীদের কাছে।
প্রসঙ্গত, মুশরিফের বয়স ৬৮। তিনি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কোলাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। শরদ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মুশরিফ বর্তমানে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্টও। শরদের দলে মুশরিফের কথার বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।