বাঁ দিক থেকে, রোহিত পওয়ার এবং শরদ পওয়ার। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে এ বার মহারাষ্ট্রে সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের নিশানায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের নাতি তথা দলের বিধায়ক রোহিত রাজেন্দ্র পওয়ার। শুক্রবার দুপুর থেকে রোহিতের মালিকানাধীন বারামতী অ্যাগ্রো লিমিটেডের পুণে, অওরঙ্গাবাদ, বারামতী এবং অমরাবতীর ছ’টি দফতরে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গত বছর ভাইপো অজিত পওয়ারের বিদ্রোহ এবং বিজেপি শিবিরে যোগদানের পরে এনসিপি প্রধান শরদ পাশে পেয়েছেন তাঁর সাংসদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এবং নাতি রোহিতকে। এনসিপির ওই যুবনেতা লোকসভা ভোটের আগে ধারাবাহিক ভাবে রাজ্য সফর করে এনসিপির শরদ গোষ্ঠীকে ক্রমশ সঙ্ঘবদ্ধ করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ঠিকানায় হানাদারির ঘটনার ফের সামনে এসেছে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতির প্রতিহিংসার অভিযোগ।
অবশ্য ইডির দাবি, মহারাষ্ট্রের কয়েকটি সমবায় সংস্থার আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলার জেরেই এই তল্লাশি অভিযান। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা ২০১৯ সালের অগস্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেছিল। এর পর বম্বে হাইকোর্ট মহারাষ্ট্রের সমবায় পরিচালিত কয়েকটি চিনি কারখানা বেআইনি ভাবে বিক্রি করার অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। পরে তদন্তের ভার নেয় ইডি।
প্রসঙ্গত, ৩৮ বছরের রোহিত শরদের দাদা আপ্পাসাহেব পওয়ারের নাতি। অজিত হলেন শরদের ছোট ভাই অনন্তের ছেলে। ২০১৭ সালে এনসিপির টিকিটে মহারাষ্ট্র জেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়ে রোহিতের রাজনৈতিক যাত্রার শুরু। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটে আহমদনগর জেলার কারজত-জামখেড় বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। পশ্চিম মহারাষ্ট্রে এনসিপি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও ছিলেন রোহিত।