ED

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত, যোগসূত্র মিলল কলকাতাতেও

তদন্তকারীদের দাবি, ভর্তুকিতে সার কিনে তা কৃষকদের বিক্রি না করে অশোক গহলৌতের ভাই অগ্রসেন বিদেশে পাচার করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৮
Share:

সল্টলেকের জিসি ব্লকের এই বাড়িতেই তল্লাশি চালায় ইডি। —ফাইল চিত্র

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে সার কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্তে নেমে কলকাতাতেও তার যোগসূত্র খুঁজে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তকারীদের দাবি, সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকিতে সার কিনে তা দেশের কৃষকদের কাছে না বিক্রি করে অশোক গহলৌতের ভাই অগ্রসেন বিদেশে পাচার করে দিয়েছিলেন।

Advertisement

সেই সার কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বুধবার সকাল থেকে রাজস্থানে অগ্রসেনের বাড়ি, দফতর-সহ দেশের ১৩ জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। তার মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের জিসি ব্লকের ৮৪ নম্বর বাড়িও। ইডি সূত্রে খবর, জিসি-৮৪-র বাড়ির মালিক একজন অবাঙালি ব্যবসায়ী। অগ্রসেন গহলৌতের ‘অনুপম কৃষি’ নামক সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে ওই ব্যবসায়ীর। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ইডি-র দিল্লির একটি বিশেষ দল কলকাতার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন।

কেন্দ্রীয় সরকার ‘ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড’ নামক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মাধ্যমে দেশের কৃষকদের ভর্তুকি-সহ মিউরিয়েটেড পটাশ সরবরাহ করে থাকে। এই পটাশ কেবলমাত্র দেশের কৃষকদের কাছে বিক্রি করার জন্য। বিদেশে রফতানি করা নিষিদ্ধ। অগ্রসেন গহলৌতের সংস্থা ‘অনুপম কৃষি’ ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেডের নথিভুক্ত ডিলার।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ বলছেন স্পিকার, রাজস্থান মামলা এ বার সুপ্রিম কোর্টে

অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ‘অনুপম কৃষি’ ভর্তুকিতে সেই পটাশ কিনে দেশের কৃষকদের সরবরাহ না করে বিদেশে পাচার করে দেয়। কোটি কোটি টাকার পটাশ বিভিন্ন সেল বা ভুয়ো কোম্পানিকে সামনে রেখে হাতবদল করে চড়া দামে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর-সহ কয়েকটি দেশে রফতানি করে শিল্পে ব্যবহৃত লবণ হিসাবে।

২০১২-১৩ সালে এই দুর্নীতি প্রথম খুঁজে বার করে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইনটেলিজেন্স। এর পর তদন্ত শুরু করে ইডি।

আরও পড়ুন: রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল, বিজেপি ছেড়ে দিলেন মেহতাব

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের এই ব্যবসায়ী অগ্রসেন গহলৌতের ঘনিষ্ঠ। তাঁর মাধ্যমে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে সার রফতানি করে পাওয়া অর্থ পাচার হয়েছে। ইডি-র দাবি, ওই ব্যবসায়ীকে আগেও নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে অর্থনৈতিক লেনদেনের নথি চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইডি-র তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, এই ব্যবসায়ী গোটা তদন্তে উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্র দিতে পারবেন। তাঁর মাধ্যমেই সার বিক্রির টাকা বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো কোম্পানির হাত ঘুরে পৌঁছত অগ্রসেনের কাছে, এমনটাই অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement