Uttar Pradesh

যোগী-রাজ্যে স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি, ইডির হানা

নিয়ম হল, তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু শ্রেণিভুক্ত পড়ুয়ারাই মাধ্যমিকের পরে ওই নির্দিষ্ট স্কলারশিপ পেতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

পিএমএলএ বা অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফাইল চিত্র।

মাধ্যমিক উত্তর স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির তদন্তে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের ২২টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। ইডি-র বক্তব্য, লখনউ, হরদোই, ফারুকাবাদের বেশ কিছু কলেজ এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত এবং সংগৃহীত টাকার পরিমাণ ৭৫ কোটির কাছাকাছি।

Advertisement

নিয়ম হল, তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু শ্রেণিভুক্ত পড়ুয়ারাই মাধ্যমিকের পরে ওই নির্দিষ্ট স্কলারশিপ পেতে পারে। কিন্তু অভিযোগ, কেলেঙ্কারিতে জড়িত যোগী-রাজ্যের কলেজগুলো তার বাইরেও বহু পড়ুয়ার নামে স্কলারশিপের টাকা তুলে সেই টাকা নিজেরা হাতিয়ে নিয়েছে। পিএমএলএ বা অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কলেজগুলির পরিচালন সমিতির সদস্য এবং তাদের আত্মীয়রাও এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। গত কালের তল্লাশিতে ইতিমধ্যেই সাড়ে ৩৬ লক্ষ টাকা এবং ৯৫৬ আমেরিকান ডলার উদ্ধার করেছে ইডি। প্রাথমিক ভাবে ইডি-র নজরে রয়েছে লখনউয়ের এসএস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, হাইজিয়া কলেজ অব ফার্মেসি, হাইজিয়া ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি, লখনউ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, ফারুকাবাদের ড. ওমপ্রকাশ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, হরদোইয়ের ড. ভীমরাও অম্বেডকর ফাউন্ডেশন অ্যান্ড জীবিকা কলেজ অব ফার্মাসি, আরপি ইন্টার কলেজ, জ্ঞানবাটী ইন্টার কলেজ এবং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

ইডি তার বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত পড়ুয়া এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু এবং অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য একাধিক স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছে। সেখানে এই জাতীয় কেলেঙ্কারির অর্থই হল, সমাজের দুর্বল অংশের প্রতি আঘাত।’’ ফিনো পেমেন্ট ব্যাঙ্কের এজেন্ট মহম্মদ সাহিল আজিজ, অমিত কুমার মৌর্য, তনভির আহমদ এবং জিতেন্দ্র সিংহ হাতেকলমে এই কেলেঙ্কারির কাজ সামলেছে বলে ইডি-র দাবি। লখনউ এবং মুম্বইয়ে ফিনোর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তারাই খুলেছিল। প্রায় ৩০০০ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বিভিন্ন নাবালক পড়ুয়া এবং মধ্যবয়সি লোকের নথি ব্যবহার করে। যাঁদের নথি, তাঁরা জানতেনও না যে তাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, কোনও টাকাও তাঁরা পাননি। কিছু ক্ষেত্রে কলেজ এবং তার কর্মীরাও ফিনো ব্যাঙ্ক এজেন্টদের থেকে বেআইনি ভাবে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নথি হাতিয়েছে। পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়েছে। আরও বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement