দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শুধুমাত্র তদন্ত করতে পারবে। কিন্তু কোনও ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাই কোর্ট গত পরশু এই রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছে, আইনত যে সব সংস্থার তদন্ত করে দোষী চিহ্নিত করার অধিকার রয়েছে, তারাই ইডি-র অনুসন্ধানের পরে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করবে।
২০১৮ সালে ২৯ নভেম্বর প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং প্রকাশ থার্মাল লিমিটেড নামে দু’টি সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নোটিস দিয়েছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থার ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই দুই সংস্থা। সেই মামলায় গত পরশু রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। ১১১ পাতার রায়ে তিনি জানিয়েছেন, যে-বিষয়টির উপরে জোর দেওয়া দরকার তা হল বেআইনি অর্থ লেনদেন প্রতিরোধ আইনের ৩ অনুচ্ছেদে ইডিকে শুধু তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শুধু তদন্ত এবং অনুসন্ধান করতে পারবে।
বিচারপতি বলেছেন, ‘‘বেআইনি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত অপরাধের প্রকৃতি দেখে ইডি বলতে পারে না যে বিষয়টি বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলা। একই সঙ্গে, যদি তদন্তে নেমে দেখে যে অন্য আইনে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা হলে আইন মোতাবেক যে তদন্তকারী সংস্থা ওই অপরাধের তদন্ত করে থাকে, তাকে জানাতে বাধ্য থাকবে ইডি।’’ সে ক্ষেত্রে ইডি অপরাধী চিহ্নিত করতে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।