ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে পৌঁছে গেল ইডির দল। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর রাঁচির বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির অফিসারেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সময় এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা করছে তারা। সে জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তকে প্রশ্ন করার জন্য় গত কয়েকদিন ধরেই খুঁজছিল ইডি। এর মধ্যেই রবিবার রাত থেকে হঠাৎ বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, হেমন্ত নিখোঁজ হয়েছেন। রবিবার শেষ বার দিল্লির বিমানবন্দরে নামতে দেখা গিয়েছিল হেমন্তকে। কিন্তু তার পরে ইডি হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পায়নি। এমনকি, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দিল্লির ঝাড়খণ্ড ভবনেও খোঁজ করা হয়। সেখানেও ছিলেন না তিনি। ইডি হেমন্তের ফাঁকা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি বিএমডব্লিউ গাড়ি পায়। আর নগদ ৩৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে। এর পরে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পরে রাঁচিতে নিজের বাড়ির সামনে হঠাৎ উদয় হন হেমন্ত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই বৈঠক করেন তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র বিধায়কদের সঙ্গে। শেষে বুধবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি।
কিন্তু সেই খবর পেয়েই জেএমএম সমর্থকেরা রাঁচিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হেমন্তের বাড়িতে ইডি তল্লাশির প্রতিবাদে রাজ ভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার কথাও জানানো হয় জেএমএমের তরফে। এই পরিস্থিতিতেই বিশৃঙ্খলার আঁচ পেয়ে ঝাড়খণ্ডের সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার আর্জি জানায় ইডি। ঝাড়খণ্ড প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিশৃঙ্খলার আন্দাজ করে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের অর্থ দফতরের সচিব। রাঁচির কাঁকে রোডে হেমন্তের বাড়ির চার পাশে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও।